Apan Desh | আপন দেশ

পায়ে হেঁটে ১৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণে জবির ১১ রোভার

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৩৪, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

পায়ে হেঁটে ১৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণে জবির ১১ রোভার

মোট ১১ জন সদস্যের তিনটি দল আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের ১১ জন রোভার চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পরিভ্রমণের উদ্দেশে বের হয়েছেন। প্রেসিডেন্টস রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির লক্ষ্যে পরিভ্রমণ ব্যাজ অর্জন করতে এ পরিভ্রমণ সম্পন্ন করবেন তারা।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে বাসে রওনা হবেন। বুধবার সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম কলেজ থেকে পাঁচ দিনব্যাপী আনুষ্ঠানিক পরিভ্রমণ যাত্রা শুরু করবেন তারা। 

জবি রোভারের সিনিয়র রোভারমেট ও দলনেতা মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মেহেদী হাসান ও গার্ল ইন রোভার দলনেতা তাছনীম সরকার প্রান্তীসহ মোট ১১ জন সদস্যের তিনটি দল আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। 

এ সময় জবি রোভার স্কাউট গ্রুপের সভাপতি ও জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, রোভার স্কাউট সকলের বন্ধু। তারা নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজ সেবা করে থাকে। তিনি অংশগ্রহণকারী রোভারদের শুভ যাত্রা প্রত্যাশা করেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট গ্রুপের গ্রুপ সম্পাদক ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান খন্দকার, ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুস সালাম এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাহরিন জান্নাত হোসাইন। 

রোভার স্কাউটসের সর্বোচ্চ সম্মান প্রেসিডেন্টস রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির লক্ষ্যে পরিভ্রমণ ব্যাজ অর্জন করতে এ পরিভ্রমণ সম্পন্ন করবেন তারা। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপ।

পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রোগ্রামে রোভার গ্রুপটি চট্টগ্রাম, গাছবাড়িয়া, লোহাগারা, চকরিয়া, ঈদগাহ ও কক্সবাজার পায়ে হেঁটে পরিভ্রমণ করবেন। এ সময় তারা সমাজ সচেতনতামূলক স্লোগান বহন করবেন। ১৯ জানুয়ারি কক্সবাজার ডিসি অফিসে এ যাত্রা শেষ হবে।

পরিভ্রমণকালে তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিস ইত্যাদি পরিদর্শন করবে। এছাড়া গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন। এতে করে স্থানীয় মানুষদের মাঝে শিক্ষার গুরুত্ব ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন।

আপন দেশ/এসএমএস

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়