Apan Desh | আপন দেশ

ইবি শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে ভিসির বাসভবন ঘেরাও

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৩৩, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫

ইবি শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে ভিসির বাসভবন ঘেরাও

ছবি: আপন দেশ

ছাত্রী হেনস্তা, সমকামিতা ও মার্ক টেম্পারিংসহ নানা অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ওই শিক্ষককে একবছরের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি ও ইনক্রিমেন্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তবে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে স্থায়ী বহিস্কারের দাবিতে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে ভিসির বাসভবন ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসন এ বিষয়ে পুনরায় পর্যালোচনার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা সরে আসেন। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক যৌন হয়রানিসহ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করেন। ছাত্রদের জোরপূর্বক সমকামিতায় বাধ্যসহ ব্যক্তিগত স্বার্থ চারিতার্থ করার জন্য ব্যবহার করেন। এছাড়াও মেয়ে শিক্ষার্থীদের পোশাক, পরিবার ও চেহার নিয়ে প্রতিনিয়ত বাজে মন্তব্য করেন এবং মেয়েদের নর্তকী, বাজারের মেয়েসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এটেনডেন্সের বিনিময়ে ছাত্রলীগের মিছিলে পাঠানো, কথার অবাধ্য হলে ইন্টারনাল মার্কস কমিয়ে দেয়া, শিক্ষার্থীদের ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে মারার হুমকি, দাড়ি থাকলে শিবির ট্যাগ দিয়ে হেনস্থা, ক্লাসের শিডিউল দিয়ে ডেকে এনে জোরপূর্বক তার জন্মদিন পালন করানোর অভিযোগও করেছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী হেনস্তা, সমকামিতা ও মার্ক টেম্পারিংসহ নানা অভিযোগে অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তার বিরুদ্ধে লিখিতভাবে ভিসির কাছে ২৭টির অধিক অভিযোগ তুলে ধরে মৌখিকভাবে বর্ণনা দেন তারা। অভিযোগ তদন্তে ৮ অক্টোবর পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। পরে ওই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে কয়েক দফা আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে গত ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৬ তম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী ইবির কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধি মোতাবেক তার বাৎসরিক একটি ইনক্রিমেন্ট বাতিল করা হয়। পাশাপাশি তাকে ২২ ডিসেম্বর থেকে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এসব অভিযোগের তথ্য প্রমাণ দেয়ার পরও প্রশাসন এমন প্রহসনমূলক সিদ্ধান্ত নিলো, এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। মনে হচ্ছে, তাকে একবছরে জন্য ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। আমরা চাই, তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হোক। আমরা লম্পটমুক্ত ক্যাম্পাস চাই। প্রশাসন সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের কথা না দেয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, উপাচার্যের সাথে কথা হয়েছে। উনি বলেছেন এ বিষয়ে পুনরায় পর্যালোচনার সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা আবেদন দিলে পরবর্তী সিন্ডিকেটে পুনরায় পর্যালোচনা করা হবে।

আপন দেশ/এসএমএস

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়