
ছবি: আপন দেশ
দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকরা অবহেলিত ও সুরক্ষা বঞ্চিত। নিম্ন বেতন কাঠামো, পদোন্নতি বর্জিত কর্মজীবন, সামাজিক দায়িত্বের নামে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে বাধ্য করাসহ বিভিন্ন বৈষম্যমূলক নীতির শিকার হতে হয় তাদের।
শিক্ষকদের অবহেলিত রেখে কখনও মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করা সম্ভব নয়।
শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুর মাটির মায়া রিসোর্টে গবেষণা প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত এক সোশ্যাল ফোরামে গবেষকরা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে গবেষণার প্রাপ্ত তথ্য উপস্থাপন করেন সহগবেষক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তৌহিদ হোসেন খান। গবেষণা কর্মটির মুখ্য গবেষক ড. ইশরাত জাকিয়া সুলতানা।
প্রকল্পটি ২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশ ও কানাডার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার নীতিমালা পর্যালোচনা করছে। এ গবেষণায় এখন পর্যন্ত ৫০ জন শিক্ষকের সঙ্গে দলীয় আলোচনা ও ১৯ জন শিক্ষা প্রশাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের একক সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে।
সোশ্যাল ফোরামে উপস্থিত বক্তারা শিক্ষকদের বিভিন্ন বৈষম্যমূলক নীতির পরিবর্তনপূর্বক শিক্ষকদের জন্য সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানান।
‘বাংলাদেশের শিক্ষকদের সুরক্ষার্থে গবেষণাভিত্তিক নীতিমালা প্রণয়ন’ শীর্ষক সোশ্যাল ফোরামটি আয়োজন করে ইকোনমিক রিকভারি পলিটিক্স ফর সাস্টেইনেবল এন্ড ইকুয়িটেবল ডিজিটাল স্কুল টিচিং এন্ড ইন কানাডা এন্ড বাংলাদেশ প্রকল্প। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলু এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়িত এবং কানাডিয়ান সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত।
আপন দেশ/এমএস
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।