Apan Desh | আপন দেশ

রাবির ভর্তি পরীক্ষায় ভোগান্তি

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:২৬, ৬ মার্চ ২০২৫

রাবির ভর্তি পরীক্ষায় ভোগান্তি

ছবি : আপন দেশ

দেশের পাঁচটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীরা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও অনেকেই পেয়েছেন প্রত্যাশার চেয়ে ভিন্ন কেন্দ্র। কেন্দ্র চয়েজ করেও অনেক শিক্ষার্থীর সিট পড়েছে অন্য বিভাগে, ফলে ভোগান্তি চরমে। দূরবর্তী কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গিয়ে বাড়তি খরচ ও যাত্রার বিড়ম্বনায় হতাশ ভর্তিচ্ছুরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কেন্দ্র সংকট ও মেরিট অনুযায়ী সিট নির্ধারণের কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, অন্য বিভাগে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হলে বিকেন্দ্রীকরণের কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। এটা তো আরও বেশি ভোগান্তি।

আইসিটি সেন্টারের তথ্য মতে, এবছর এ, বি, সি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটে ৯৬ হাজার ১৬২, ‘বি’ ইউনিটে ৪২ হাজার ৪৩৩, ‘সি’ ইউনিটে ৯৮ হাজার ৮২০ জন চূড়ান্ত আবেদন করেছে। তবে অভিন্ন পরীক্ষার্থী সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৯৪ জন। পাঁচ বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে ৮টি। এদের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ হাজার ৭০০টি, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্রণী স্কুলে শুধু ‘সি’ ইউনিটের জন্য অতিরিক্ত আসন ১ হাজার ৮০৮টি, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ হাজার ২৬৩টি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৫০টি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩ হাজার ৮০টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ হাজার ২০০টি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার ৪১৯টি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ হাজার ৩০০টি পরীক্ষা নেওয়ার আসন রয়েছে।

মনোরঞ্জন সাহা নামে এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, আমার বাসা দিনাজপুরে, প্রথম চয়েস ছিল রংপুর তারপর রাজশাহী, কিন্তু আমার আসছে চট্টগ্রামে। এখন কিভাবে যাব আমরা অতদূর? আসলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এগুলো আমাদের সঙ্গে ফাজলামি শুরু করছে।

এবি মোমেন নামের আরেক শিক্ষার্থী জানান, আমি থাকছি ঠাকুরগাঁও, পরীক্ষা কেন্দ্রের চয়েস লিস্টে রাবিতে রাখলেও সিট পড়েছে চবিতে। এত দূর যাওয়া আমার জন্য কঠিন, কীভাবে যাবো বা কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। এটি সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত। যাওয়া-আসার খরচ চিন্তা করলেই পরীক্ষা দেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিভাগীয় শহরের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আসনসংখ্যা ও আবেদনকারীর অসমতার কারণে মেরিট অনুযায়ী সিট নির্ধারণ করা হয়েছে, ফলে কিছু পরীক্ষার্থী দূরের কেন্দ্রে পড়েছে। এক শিফটে পরীক্ষা নেয়ার কারণে বিকল্প ব্যবস্থা কঠিন, তবে ভবিষ্যতে বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে।

সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির আহবায়ক উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহা. মাঈন উদ্দীন জানান, বিষয়টি জেনেছি। আইসিটি সেন্টারের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে সমস্যাটা সমাধান করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করছি।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়