Apan Desh | আপন দেশ

কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ, প্রমাণ গায়েব

কুবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ১৬ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১৮:৪৬, ১৬ মার্চ ২০২৫

কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ, প্রমাণ গায়েব

ফাইল ছবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলামের বিরুদ্ধে বেনামি মেইলের মাধ্যমে উত্তরপত্রসহ প্রশ্ন ফাঁসের আনা অভিযোগ উঠেছে। ওই ই-মেইলের ড্রাইভ লিংকে থাকা তথ্যের ফাইলগুলো গায়েবের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (১৬ মার্চ) প্রতিবেদন লেখার আগে পর্যন্ত যে বেনামি মেইলের মাধ্যমে ড্রাইভ লিংক প্রদান হয়েছিলো সেখানে প্রবেশ করলে ফোল্ডারটি খালি দেখাচ্ছে আবার কখনও লিংকে প্রবেশ করা যাচ্ছেনা।

এবিষয়ে এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক জাকির ছায়াদুল্লাহের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তদন্ত চলাকালীন বিষয়ে কথা বলবেন না বলে জানান।

তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নুরুল করিম চৌধুরী জানান, ‘বিষয়টি একান্তই তদন্ত কমিটির। তারা কীভাবে বিষয়টা নিয়ে কাজ করবে এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছিনা।

এমন ঘটনায় একইদিনে পাঁচ দাবি জানিয়ে উক্ত বিভাগের ঘটনা সংশ্লিষ্ট ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। 

আরও পড়ুন<<>> সাত কলেজ নিয়ে হচ্ছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’

স্মারকলিপিতে পরীক্ষার পূর্বে অতিদ্রুত তদন্ত করে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রদানের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদি বিনষ্ট করার চেষ্টা, অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীর খাতা জব্দ করা এবং আগামী পরীক্ষার পূর্বে অভিযুক্তের খাতার সঙ্গে প্রমাণাদি মিলিয়ে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রদানের দাবি করেন। পাশাপাশি, ৩০৬ কোর্সের বিফোর ফাইনালের ফলাফল এসাইনমেন্ট মিড নেয়া ব্যতীত নাম্বারিং করার অভিযোগও করেন তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা স্মারকলিপি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি। ইতোমধ্যে এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে। তাদের সিদ্ধান্ত ও উপস্থাপিত প্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যারা দোষীদের অবশ্যই যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ দিবাগত রাতে এক বেনামী ইমেইল থেকে কাজী এম. আনিছুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। তার বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পরীক্ষার আগেই উত্তরসহ প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ দিয়ে প্রশাসনসহ কয়েকজন সাংবাদিকের কাছে মেইল করা হয়৷ সে প্রেক্ষিতে পরেরদিন (১২ মার্চ) অনুষ্ঠিতব্য ওই বর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা পেছানো হয়। প্রশাসন থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়