
ছবি: আপন দেশ
ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকে ২৪- এর লড়াই বলে মন্তব্য করেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের ভেতরে ইনসাফের বীজ নিহীত আছে। একজন মূর্খ মানুষের মধ্যেও ইনসাফের ধারণা আছে।
মঙ্গলবার( ২২ এপ্রিল) জাস্টিস ফর জুলাই, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কর্তৃক আয়োজিত 'বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও আমাদের করনীয়' শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টর ফুয়াদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পোগোজ স্কুল অডিটোরিয়ামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ফুয়াদ বলেন, ইনসাফ যদি কায়েম না হয় তবে সেখানে সুনামি হয়। চিন্তার সুনামি, লড়াইয়ের সুনামি হয়। রক্ত দিয়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হয়। ২৪- এর লড়াইও সেই আকাঙ্খা থেকে হয়েছে।
ঐতিহাসিক সাক্ষ্য টেনে তিনি বলেন, বৃটিশ কলোনিয়াল লুটেরা থেকে শুরু করে ৭১ এর মহান স্বাধীনতার পরও রাষ্ট্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হয়নি। ইনসাফ হাইজ্যাক হয়েছে। ৭১ এর পর শেখ মুজিব দেশকে জমিদারিতে পরিণত করেছে।
সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ও জাতিকে ৭১ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রের নাগরিককে প্রজা বানিয়ে শাসন করেছে। ফলে এখানে বার বার লড়াই হয়েছে।
আরওপড়ুন<<>>আমরা চাই দ্রুত সংস্কার শেষে নির্বাচন হোক: শামসুজ্জামান দুদু
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে ফুয়াদ বলেন, বিচারহীনতা সংস্কৃতি ও এর বয়ান ভেঙে ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা করতে ঐতিহাসিক লড়াই করতে হবে। আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হেজেমনি, ইন্ডিয়ান হেজেমনি ভেঙ্গে দিতে হবে। বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে শুধু ২৪- এর বিচার চাইলে হবে না, দশকের পর দশকের চলা মামলার বিচারও চাইতে হবে। কৃষক-মজুরের জমির মামলার বিচারও চাইতে হবে। আমার কৃষক-শ্রমিক, দিনমজুর যখন রাষ্ট্রের কাছে তার প্রাপ্য বিচার পাবে তখনই ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে।
ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার প্রসঙ্গে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঘুম থেকে উঠে হাসিনাকে দেখতে হয় না, এর চাইতে বড় শান্তি আর কী আছে? অন্তর্বত্নীকালীন সরকারের প্রত্যাশা অনেক, তাদের অনেক চ্যালেন্জ রয়েছে। ১০ মাস অতিবাহিত হবার পরও ফ্যাসিবাদের বিচার না হওয়া একটা প্রপাগান্ডার টুল হবে সরকারকে দুর্বল করে দেয়ার জন্য। আওয়ামী লীগ ব্যবহার করবে এ সরকারকে বিব্রত করার জন্য। বিচারহীনতার সংস্কৃতির পাশাপাশি বিচারের কাঠামো তৈরির আলাপ তুলতে হবে।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে অধ্যাপক বেলাল হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমরা ন্যায় বিচারের সংস্কৃতি তৈরি করতে পারিনি। কলোনিয়াল মাইন্ডসেটের কারণেই মূলত আমরা এটা করতে পারিনি। ফলে আমরা অপরাধী না দেখে ধর্ম-বর্ণ ও দলীয় ব্যাকগ্রাউন্ড দেকে বিচার করি। এ জায়গা থেকে বেরিয়ে ন্যায় বিচারের সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে।
সমপানি বক্তব্যে জাস্টিস ফর জুলাই জবি শাখার মুখপাত্র মাঈন আল মুবাশ্বির বলেন, জাস্টিস পর জুলাই একটি প্রতিকি নাম। এর দ্বারা আমরা সকল বঞ্চিত মানুষের বিচার চাই। এ সময় সভায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।