Apan Desh | আপন দেশ

রেজিস্ট্রারের কাছে হেনস্থার শিকার জবি শিক্ষার্থী

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ২১:০১, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

রেজিস্ট্রারের কাছে হেনস্থার শিকার জবি শিক্ষার্থী

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সাইকেল চুরির ঘটনায় রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে এসে হেনস্থার শিকার হয়েছে এক শিক্ষার্থী।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস কক্ষে এ হেনস্থার ঘটনা ঘটে।

হেনস্তার শিকার শিক্ষার্থী হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের সভাপতি ইভান তাহসীব। অপরদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবনের গ্যারেজ থেকে গত তিন মাসে একাধিক সাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করতে রেজিস্টার অফিসে যান ইভান তাহসিভসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এসব চুরির ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা ও নিরপত্তা জোরদারের দাবিতে রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে যায় শিক্ষার্থী। এ সময় রেজিস্টার সমস্যার সমাধান না করে উল্টো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তাদের রুম থেকে বের করে দেন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রেজিস্ট্রারের অসৌজন্যমূলক আচরণের একটি অডিও ক্লিপ হাতে এসেছে এ প্রতিবেদকের হাতে।

আরওপড়ুন<<>>কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, হলও খুলেছে

অডিও ক্লিপে শোনা যায়, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে রেজিস্ট্রার ড. গিয়াস উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের মালামালের নিরাপত্তা দিতে পারবো না, মালামাল শিক্ষার্থীদের নিজ দায়িত্বে রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা কি খাবে, কোথায় থাকবে? এ দায়িত্ব প্রশাসনের না। শিক্ষার্থীদের কিছু হলে এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর দায়ভার নিতে পারবে না। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্ষিপ্ত হয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘বের হয়ে যাও! বের করে দাও ওকে! বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনো পড়তে এসেছো, এলাকার কলেজে পড়লেই তো পারতে’।

এ বিষয়ে ইভান তাহসীব বলেন, আমার এক ছোট ভাইয়ের সাইকেল চুরির অভিযোগ জানাতে আমরা রেজিস্ট্রার দফতরে যাই। আমি প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেরেজ থেকে সাইকেল চুরির ঘটনা বললে রেজিস্ট্রার উত্তেজিত হয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো গ্যারেজ নেই। শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডের মালামালের নিরাপত্তার দায়িত্ব ওনি নিতে পারবে না বলে জানান।

এ শিক্ষার্থী আরও বলেন, টিউশনির জমানো টাকায় তারা সাইকেল কিনে, সেই সাইকেল নিয়ে টিউশনি করে। ওনি যদি গ্যারেজের নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে গ্যারেজ বন্ধ করে দিক। অথবা সাইনবোর্ড লাগিয়ে ঘোষণা করুক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো মালামালের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় নিতে পারবে না। এক পর্যায়ে ওনি আমাকে তার কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।

এ বিষয়ে জানতে রেজিস্টার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি মিটিং আছেন বলে জানান। এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার বিভিন্ন ফোন নাম্বার দিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়