
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ কামাল এবং উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। উভয়েই এখন নিজ নিজ বিভাগে ফিরে যাবেন।
প্রায় দুই মাস ধরে তাদের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। কুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এ পদক্ষেপ নিল। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হযয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩-এর ধারা ১০ (২) অনুযায়ী খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে ইতিপূর্বে নিয়োগকৃত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ, ভাইস-চ্যান্সেলর, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে তার নিজ বিভাগে প্রত্যাবর্তনের নিমিত্তে ভাইস-চ্যান্সেলর পদের আদেশ প্রত্যাহারপূর্বক তাকে উক্ত পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি দেয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩-এর ধারা ১২ (২) অনুযায়ী খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর পদে ইতিপূর্বে নিয়োগকৃত অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলম, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে তার নিজ বিভাগে প্রত্যাবর্তনের নিমিত্তে প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর পদের আদেশ প্রত্যাহারপূর্বক তাকে উক্ত পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
এর আগে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল ভিসি এবং প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া হাতে নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. মাছুদ এবং উপ-উপাচার্যের অব্যাহতির ঘোষণায় প্রায় ৫৭ ঘণ্টা অনশন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান।
অনশন ভাঙানোর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি বার্তা অনশনরত শিক্ষার্থীদের পড়ে শোনান অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান। সেখানে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে সমস্যা নিরসন ও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। দায়িত্ব পরিচালনার লক্ষ্যে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্যে থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব দেয়া হবে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।