ছবি: আপন দেশ
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী হৃদয় চৌধুরী। নিয়মিত বিদ্যালয়ে গিয়েও ক্লাস করতে পারছে না। অন্যরা যখন ক্লাস করে তখন তাকে তার দাদির বদলে আয়ার কাজ করতে হচ্ছে। এ কাজটি করিয়ে নিচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নেত্রকোনার মদন উপজেলার বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এই হৃদয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন জানায়, বালালী গ্রামের আজিদা আক্তার বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়া পদে কর্মরত। তাঁর বয়স হওয়ায় বেশি পরিশ্রম করতে পারেন না। এ জন্য এক বছর ধরে দাদির বদলে তাঁর নাতিকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা নিজেদের কক্ষে পাঠ নিচ্ছে। বিদ্যালয়ের কয়েকটি কক্ষে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। হৃদয় ক্লাস ছেড়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে কাজ করছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ কমিটির লোকজনকে চা, বিস্কুট, পানি খাওয়াচ্ছে।
এ সময় জানতে চাইলে হৃদয় বলে, আমাকে বলা হয়েছে দাদির কাজ করে দিতে।
আজিদা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো যেতে চাই। কিন্তু আমাকে না করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার বলেন, হৃদয় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। তার দাদি আয়া পদে চাকরি করে। সে অসুস্থ থাকায় বিদ্যালয়ে কম আসে। মাঝেমধ্যে হৃদয় একটু কাজকর্ম করে থাকে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি রফিকুল ইসলাম স্বপন এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী বলেন, একজন শিক্ষার্থীকে দিয়ে আয়ার কাজ করানো কোনোভাবেই ঠিক নয়। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।