Apan Desh | আপন দেশ

জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৫০, ২০ জুলাই ২০২৩

আপডেট: ১৪:৫৮, ২০ জুলাই ২০২৩

জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে 

ছবি : আপন দেশ

বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে দশম দিনের মতো শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে। শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বানের পরও অন্দোলন স্থগিত করেননি তারা।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা বন্ধ করে তারা অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন। সেই সঙ্গে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।

তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকদের উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা গেছে। শিক্ষামন্ত্রীর আন্দোলন স্থগিতের আহ্বান ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিলের কারণে অনেক শিক্ষক ঢাকা ছেড়ে নিজ এলাকায় ফেরায় উপস্থিতি কম বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

আরও পড়ুন: নির্বাচন এলেই বেসরকারি শিক্ষকরা জাতীয় করণণের দাবি তোলেন

সরেজমিনে দেখা গেছে, পল্টন মোড় থেকে কদম ফোয়ারা পর্যন্ত রাস্তার এক পাশ বন্ধ রেখে কর্মসূচি পালন করছেন তারা। গত কয়েকদিন রাস্তার দুই পাশই বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা। তবে উপস্থিতি কম থাকায় বৃহস্পতিবার রাস্তার এক পাশ বন্ধ করে চলছে অবস্থান। শিক্ষক নেতারাও তাদের বক্তব্যে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন।

সিরাজগঞ্জ থেকে কর্মসূচিতে আসা শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, মন্ত্রী আমাদের নেতাদের সঙ্গে বসলেও তেমন কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়নি। শিক্ষকদের দাবি উপেক্ষা করে নিজের মন্তব্য জানিয়ে তিনি বৈঠক শেষ করেছেন। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসতে চাই। তিনি যদি আমাদের আশ্বস্ত করেন তবেই আমরা ফিরে যাব।

নাম প্রকাশ না করে আন্দোলনে অংশ নেয়া একজন শিক্ষক জানান, শিক্ষামন্ত্রীর গতকাল (১৯ জুলাই) নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলায় অনেকে আশঙ্কা করছেন পুলিশ হয়তো আমাদের সরিয়ে দেবে। এজন্য অনেকে আন্দোলনে অংশ নিতে আসেননি। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। দুপুর নাগাদ আরও উপস্থিতি বাড়বে।

আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল

তবে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল এবং শিক্ষামন্ত্রী আহ্বান জানানোয় অনেক শিক্ষক এলাকায় ফিরে গেছেন বলেও জানান তিনি।

বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শিক্ষক নেতারা। পরে বাংলাদেশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) কার্যালয়ে তাদের অভ্যন্তরীণ বৈঠক হয়। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত হয় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার।

আপন দেশ/জেডআই/এমএমজেড

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়