ছবি : সংগৃহীত
তিন দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলের ছাত্রীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুর একটার দিকে তারা অবস্থান শুরু করেন। এ প্রতিবেদন লেখা সময় (বিকেল সাড়ে তিনটা) অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বলেন, মৈত্রী হল ছোট হলেও প্রতিবছর অধিক ছাত্রী এখানে অ্যালোটমেন্ট দেয়া হয়। ফলে ছাত্রীদের অন্যান্য হলে ছয়মাসের মধ্যে বৈধ আসন পেলেও মৈত্রী হলে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীরা চতুর্থ বর্ষে উঠেও আসন পাচ্ছে না। এর পাশাপাশি ২০২০-২১, ২১-২২, ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সবার আসন অনিশ্চিত অবস্থায় আছে।
তার আরও বলেন, হলের মূল ভবনে পাঁচটি অতিথি কক্ষে চাপাচাপি করে ১০০ শিক্ষার্থী বার্ষিক চার হাজার টাকা প্রদান করে অবস্থান করেন। তাদের জন্য মাত্র তিনটি ওয়াশরুম রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত সিকদার মনোয়ারা ভবনের তিনতলার ১৫টি অতিথি কক্ষ, যেখানে বর্তমানে ১১০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। তাদের জন্য মাত্র দুটি ওয়াশরুম। দোতলায় ২৪ শিক্ষার্থীর জন্য একটি ওয়াশরুম রয়েছে। এতে তারা বর্ণনাতীত কষ্টে আছেন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে তিন ধাপে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে, মৈত্রী হল থেকে অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থীকে অন্য হলে এক মাসের মধ্যে স্থানান্তর করা, হলের আসন সংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে শিক্ষার্থী অ্যালোট দেয়া, মূলভবনের প্রতি রুমে ছয় শিক্ষার্থীর বেশি বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট না করা।
এর আগে রোববার তারা উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের কাছে দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দেন। এরপরে সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা উপাচার্য ‘অসহযোগিতাপূর্ণ’ আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন এবং অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।