Apan Desh | আপন দেশ

সংগীতের মেধাস্বত্ব নিয়ে দিনব্যাপী আলোচনা

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২৯, ৫ জুন ২০২৪

আপডেট: ১১:২৯, ৫ জুন ২০২৪

সংগীতের মেধাস্বত্ব নিয়ে দিনব্যাপী আলোচনা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে সংগীত প্রণেতাগণের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ, মেধাস্বত্বের বিপরীতে রয়েলিটি আদায় ও বিতরণ বিষয়ে ২০১৩ সাল কাজ করছে বাংলাদেশ লিরিসিস্ট, কম্পোজার্স অ্যান্ড পারফরমারস সোসাইটি (বিএলসিপিএস)। সরকার অনুমোদিত দেশের একমাত্র সিএমও হিসেবে বিএলসিপিএস। ব্যবহারিক কাজে আন্তর্জাতিক মানের সক্ষমতা অর্জনে দেশ ও দেশের বাইরের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। 

মঙ্গলবার (৪ জুন) বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস ও বিএলসিপিএস যৌথভাবে ঢাকার সিক্স সিজনস হোটেলে দিনব্যাপী মেন্টরশিপ প্রোগ্রামের আয়োজন করে। আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল ডব্লিওআইপিও ও জাপান কপিরাইট অফিস।

‘কপিরাইট ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সংস্থাসমূহের পরিচালনার নিমিত্তে ওয়াইপো মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম’ শীর্ষক এ আয়োজনে ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিওআইপিও), বিশ্বব্যাপী সিএমওগুলোর আন্তর্জাতিক কনফেডারেশন (সিআইএসএসি) এবং ইন্ডিয়ান পারফর্মিং রাইট সোসাইটি (আইপিআরএস)–এর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করেন।

সকাল ১০টায় আয়োজনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএলপিএসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সংগীতশিল্পী হামিন আহমেদ, ডব্লিওআইপিওর কপিরাইট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার মিইউকি মোনরোয়িং এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাফরিজা শ্যামা। স্বাগত বক্তব্য শেষে আয়োজনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের কপিরাইট রেজিস্ট্রার মো. দাউদ মিয়া।

দিনব্যাপী আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ৫টি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হলো- স্থানীয় সিএমও’র প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে কালেকটিভ ম্যানেজমেন্ট ও নতুন প্রকল্প গ্রহণে ডব্লিউআইপিও’র কার্যক্রম, বিশ্বজুড়ে সংগীত প্রণেতাদের নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রতিনিধিত্ব করা এবং কার্যকরভাবে তাদের কাছে রয়েলিটি প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য সিআইএসএসির ভূমিকা ও উদ্যোগ, সংগীত প্রণেতা ও সংগীত শ্রোতা/ভোক্তাদের জন্য সৃজনশীল ইকোসিস্টেম তৈরিতে স্থানীয় সিএমওর ভূমিকা, বাংলাদেশে কপিরাইট ও রিলেটেড রাইটসের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যত এবং সর্বশেষ সেশনে বিএলসিপিএসের বর্তমান কার্যক্রম, ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন হামিন আহমেদ। প্রতিটি সেশন শেষে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব।

দিনের শেষ সেশনে বিএলসিপিএসর বর্তমান কার্যক্রমের অবস্থা এবং ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন এর সিইও হামিন আহমেদ। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পীদের সিএমও হিসেবে বিএলসিপিএস (বাংলাদেশ লিরিসিস্ট, কমপোজার অ্যান্ড পারফরমার্স সোসাইটি) সরকারি অনুমোদন পায় ২০১৪ সালে। দেশের গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পীদের কপিরাইটসহ অন্যান্য স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কাজ করছে। পশ্চিমাদেশগুলোতে এ ধরনের উদ্যোগ অনেক সফলতা পেয়েছে। আর এর বিকল্প আর নেই। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পাবার ৫৩ বছর কেটে যাবার পরও মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ এবং রয়্যালটি আদায়ের বিষয়টি ছিল হজবরল। এ কারণে বাংলাদেশের গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পীদের জন্য সিএমও হিসেবে কাজ করছে । আর বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের সুবিধা নেবার সিস্টেম দ্বিতীয়টি নেই।

অনুষ্ঠানে নকীব খান, শহীদ মাহমুদ জঙ্গি, শেখ মনিরুল ইসলাম টিপু (ওয়ারফেজ), মাকসুদুল হক, শওকত আলী ইমন, অর্ণব, বালাম, আলিফ আলাউদ্দিন, জয় শাহরিয়ার, রাহুল আনন্দ (জলের গান), প্রীতম হাসান, গীতিকার সুরকার প্রিন্স মাহমুদ, অ্যাসেজ ব্যান্ডের জুনায়েদ ইভানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

আপন দেশ/এইউ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়