সাকলায়েনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ পিয়ার

নায়িকা পরীমণির সঙ্গে অবৈধ সর্ম্পক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সাকলায়েনের। তদন্তে সত্যতা মিলেছে। ফলে চাকরি খোয়াচ্ছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের সময় গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগের এডিসির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

গত ১৩ জুন একটি স্মারক সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো হয়। স্বাক্ষর করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের শৃঙ্খলা-২ শাখার উপ-সচিব রোকেয়া পারভীন জুঁই। এতে সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসর দিতে সুপারিশ করা হয়। 

এবার সাকলায়েনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে ফেসবুক পোস্টে অভিযোগের বিষয়টি অভিনেত্রী তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন>> পরীমণির সঙ্গে রাতযাপনে চাকরি হারালেন সাকলায়েন

তিনি লেখেন, ‘এ সেই ব্যক্তি (গোলাম সাকলায়েন), আব্বার এফআর টাওয়ার মামলায় যিনি ডিবি থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। প্রায় ৬-৭ দিন আমি আর আম্মা প্রতিদিনই আব্বাকে দেখতে ডিবি অফিসে যেতাম। এ সেই ব্যক্তি যিনি প্রতারণামূলকভাবে এবং জোরপূর্বক সিআরপিসির ১৬৪ ধারার অধীনে জবানবন্দির জন্য আব্বার সম্মতি নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন।’

আরও পড়ুন>> জায়েদ খানের সঙ্গে রোমান্স অসম্ভব: দীঘি

পিয়া আরও লেখেন, ‘আমি আব্বাকে সম্মতি না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম, কারণ তিনি এ ঘটনায় মোটেও জড়িত ছিলেন না। কিন্তু আমি ডিবি অফিসে পৌঁছার আগেই তিনি (সাকলায়েন) আব্বার কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নেন। পরের দিন আদালতে জমা দেন। এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। আব্বাকে আর আমাকে চুপ থাকতে বলেন। অথচ তার জানা ছিল না, আমি চুপ থাকার জন্য জন্মগ্রহণ করিনি।’

এ অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘যেদিন তিনি এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের জন্য জমির মালিক হিসেবে আব্বাকে গ্রেফতার করেছিলেন, আব্বা তখন এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে তাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। তখন আব্বার বয়স ছিল ৭৭ বছরের বেশি!’

সাকলায়েন সম্পর্কে পিয়া বলেন, ‘আমার দেখা মতে, জনাব সাকলায়েন লোকটি অত্যন্ত তীক্ষ্ণ, প্রতিভাবান এবং ধূর্ত। কিন্তু একটা ভুল তার সবকিছু তছনছ করে দিল! যদিও আমরা মানুষের অপকর্মের জন্য তাদের ক্ষমা করে দেই, কিন্তু প্রকৃতি এবং সর্বশক্তিমান সব সময় রয়েছেন সঠিক বিচার করার জন্য।’

আপন দেশ/এসএমএ