ফাইল ছবি
বাংলা সিনেমার কালজয়ী অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক নায়করাজ রাজ্জাকের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৭ সালের আজকের এ দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এ অভিনেতা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলা সিনেমা এদেশে রাজত্ব শুরু করে; বন্ধ হয় ভিনদেশি সিনেমা, যার নেতৃত্ব দেন নায়করাজ।
মৃত্যুবার্ষিকীতে পরিবারের পক্ষ থেকে থাকছে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন।
অভিনেতার পুত্র সম্রাট বলেন, এ দিনে ফজরের নামাজ পড়েই আব্বার কবরে চলে যাই, দোয়া-দরুদ পড়ি। দুপুরে গরিব ও এতিমদের খাওয়ানো হবে। বাদ আসর মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
কথায় কথায় অভিনেতা সম্রাট জানান, আব্বার প্রিয় কর্মস্থল এফডিসি। বিগত বছরে কখনো তাকে নিয়ে কোনো সংগঠনকে স্মরণ করতে দেখিনি। আমরা আশাও করি না। অথচ কোনো সমস্যা হলে অনেকেই সমাধানের জন্য আব্বার কাছে ছুটে আসতেন।
১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন আবদুর রাজ্জাক। সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় মঞ্চনাটকে হাতেখড়ি হয় রাজ্জাকের। ১৯৬৪ সালে নতুন জীবন গড়তে সপরিবারে বাংলাদেশে পাড়ি জমানো রাজ্জাক কঠোর পরিশ্রম আর সংগ্রাম করেছেন।
‘মুখ ও মুখোশ’ চলচ্চিত্রের পরিচালক আবদুল জব্বার খানের সহযোগিতায় বাংলাদেশি সিনেমায় কাজের সুযোগ পান রাজ্জাক। ১৯৬৬ সালে ‘১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’ চলচ্চিত্রে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। একই বছর জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে সুচন্দার বিপরীতে নায়ক হিসেবে ঢালিউডে প্রথম উপস্থিত হয়েই সবার মন জয় করে নেন রাজ্জাক। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এরপর ক্যারিয়ারের মাত্র আট বছরেই শতাধিক সিনেমার মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন এ কিংবদন্তি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে।
অভিনয়ের বাইরে রাজ্জাক সফল ছিলেন প্রযোজক-নির্মাতা হিসেবেও। প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন ১৬টি চলচ্চিত্র। দীর্ঘ কর্মজীবনে আজীবন সম্মাননাসহ মোট ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য রাষ্ট্র তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’-এ ভূষিত করে।
আপন দেশ/এইউ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।