ফাইল ছবি
বাংলাদেশে চলচ্চিত্র নির্মাতারা দীর্ঘদিন ধরে সেন্সর বোর্ড বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন। ২০২৩ সালে প্রণীত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন অনুযায়ী, সেন্সর বোর্ডের পরিবর্তে সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠনের কথা ছিল। তবে সম্প্রতি সরকার পুরনো সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট ১৯৬৩ এর ভিত্তিতে সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করেছে।
প্রজ্ঞাপন জারির পর নির্মাতা আশফাক নিপুনসহ বেশ কয়েকজন সদস্য তাদের সদস্যপদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তাদের দাবি, সেন্সরশিপ নয়। সার্টিফিকেশনই হওয়া উচিত চলচ্চিত্র পর্যালোচনার মাধ্যম।
সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে সেন্সর বোর্ড বাতিলের জন্য আন্দোলন করে আসছেন তারা। হঠাৎ করে পুরনো আইনের ভিত্তিতে আবারও সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। যা চলচ্চিত্রের সৃজনশীলতার ওপর বাধা সৃষ্টি করবে।
নির্মাতারা মনে করেন, সেন্সরশিপের পরিবর্তে সার্টিফিকেশন পদ্ধতি কার্যকর হলে। একটি চলচ্চিত্র কোন বয়সের দর্শকের জন্য উপযোগী তা নির্ধারণ করা সহজ হবে। এর ফলে চলচ্চিত্রের ওপর কোন ধরনের অযাচিত বাধা আসবে না।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সার্টিফিকেশন আইন কার্যকর করতে এখনো বিধিমালা প্রণয়ন হয়নি। বিধিমালা প্রণয়ন শেষ হলেই সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠন করা হবে।
চলচ্চিত্রকর্মীরা দ্রুত সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠনের দাবি জানাচ্ছেন। প্রশ্ন তুলছেন, কেন আইন কার্যকর হতে এত সময় লাগছে।
আপন দেশ/অর্পিতা
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।