ছবি: সংগৃহীত
সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা মানেই দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া। কিংবদন্তি এ চলচ্চিত্র নির্মাতা দারুণ গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তার সব সিনেমাই আজ সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাইতো ৬০ বছর বা ছয় দশক পরও সত্যজিৎ রায়ের মহানগর সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
আগামী শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সত্যজিৎ রায়ের মহানগর সিনেমা। সিনেমাটি মুক্তির সুখবরের পর আনন্দবাজার পত্রিকা এ খবর জানিয়েছে। মহানগর প্রথম মুক্তি পায় ১৯৬৩ সালে।
সে সময় জমকালো মাল্টিপ্লেক্স ছিল না। ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড ছিল না। এবার এ প্রজন্মের দর্শকরা নতুনভাবে সিনেমাটি উপভোগ করতে পারবেন।
দক্ষিণ কলকাতার জনপ্রিয় প্রেক্ষাগৃহ নবীনায় প্রদর্শিত হবে ছবিটি। সিনেমা হলের মালিক নবীন চোখানি গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে এ অমর কাজ ফিরিয়ে দিতেই এ উদ্যোগ।
মহানগর নরেন্দ্রনাথ মিত্রের ছোটগল্প অবতরণিকা অবলম্বনে নির্মিত। গল্পের প্রধান চরিত্র একজন গৃহবধূ।
১৯৫০-এর দশকের কলকাতা শহরের এ ছবির পটভূমি। আরতি মজুমদার (মাধবী মুখোপাধ্যায়), একটি রক্ষণশীল মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন গৃহিণী। তিনি বুঝতে পারেন তার স্বামীর আয় তার পরিবারকে সমর্থন করার জন্য যথেষ্ট নয়। তখন তার পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি একটি চাকরি নেয়।
ধীরে ধীরে, আরতি তার নতুন আর্থিক এবং মানসিক স্বাধীনতা উপভোগ করতে শুরু করে। এদিকে আরতির স্বামী চাকরি হারান। এটি আরতিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী করে তোলে। আরতি এডিথ নামে একজন ইংরেজিভাষী ব্রিটিশ-ভারতীয় সহকর্মীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। যখন মিথ্যা সন্দেহের বশে সে নারীকে বরখাস্ত করা হয়, তখন আরতি প্রতিবাদ করার একমাত্র উপায় হিসাবে তার চাকরি ছেড়ে দেয়।
জয়া ভাদুড়ি (যিনি পরে অমিতাভ বচ্চনকে বিয়ে করেছিলেন এবং জয়া বচ্চন নামে পরিচিত ছিলেন) এ ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছিল। এ ছবির প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনিল চট্টোপাধ্যায় ও মাধবী মুখোপাধ্যায়।
১৯৬৪ সালে, সত্যজিৎ রায় এ ছবির জন্য ১৪ তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা পরিচালকের জন্য সিলভার বিয়ার ফর বেস্ট ডিরেক্টর পুরস্কার জিতেছিলেন।
আপন দেশ/অর্পিতা
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।