সাধু মেলায় গান গাইছেন শিল্পীরা। ছবি-আপন দেশ
ভাববানীর অমিয় কথার সঙ্গে হৃদয়ছোঁয়া সুরের সংমিশ্রণে অনন্য ছিলো সাধুমেলা। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সাঁইজির মতাদর্শ গানে গানে তুলে ধরেছেন বাউলরা। ফকির লালনের মানবতাবাদী চেতনা আর অসাম্প্রদায়িক চেতনা মিশিয়ে শিল্পীরা গেয়েছেন মানুষ ও মানবতার গান। আর প্রতিটি পরিবেশনার পর পর ওয়ান মোর ওয়ান মোর আবেদনে অনুষ্ঠানস্থলে লালনের প্রতি অনুরাগ ও শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ ঘটান শিল্পীরা।
এমন চিত্রকল্পই ছিলো বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমি আয়োজিত ও মানিকগঞ্জ জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সাধুমেলার আসরে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মানিকগঞ্জের হাটিপাড়া ইউনিয়নের বটতলায় অনুষ্ঠিত হয় এ আসর।
সাঁইজির ‘এলাহী আলামিন গো আল্লাহ’ গানের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ আসর। গানটির দলীয় পরিবেশনায় ছিলেন সেন্টু ও তার দল। এরপর গফুর ও তার দল পরিবেশন করে ‘আল্লাহ বলো মনরে পাখি’, রেজুয়ানুল ও তার দল পরিবেশন করে ‘যেখানে সাঁইর বারামখানা’, হযরত আলী শাহ্ ও তার দল পরিবেশন করে ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’।
এছাড়া একক পর্বে যোগী ফকির গেয়ে শোনান ‘এসো হে দয়াল কান্ডারী’, রেহেনা পারভীন গেয়ে শোনান ‘চরণ ছাড়া করোনা হে দয়াল হরি’, জালাল মিয়া পরিবেশন করে ‘লোকে বলে লালন ফকির কোন জাতের ছেলে’, বিউটি পারভীন গেয়ে শোনান ‘কবে সাধুর চরণ ধুলি মোর লাগিবে গায়’, মো. অসীম উদ্দিনের কন্ঠে গীত হয় ‘মিছে মায়ায় মজিয়ে মন কি করো রে’, রাসেল শাহর কন্ঠে গীত হয় ‘ভেবেছো কামার বেটারে ফাঁকিতে ফেলেছি’ এবং অর্পা খন্দকার গেয়ে শোনান ‘নৈরাকারে ভাসছে রে এক ফুল’। সীমান্ত ও তার দলের পরিবেশনায় ‘মিলন হবে কত দিনে’ গানটির দলীয় পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় সাধুমেলার এ আসর।
এর আগে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মনোয়ার হোসেন মোল্লা।
জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির কালচারাল অফিসার সেলিনা সাঈয়েদা সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক আব্দুল হালিম চঞ্চল।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।