সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম।
বাংলাদেশের সংগীত জগতের কিংবদন্তি বরেণ্য সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম পাচ্ছেন শুভজন পদক ২০২৩। তার সংগীত জীবনের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এ সম্মাননা দেয়া হচ্ছে। ‘মানবিক মানুষ চাই’ এ মহান ব্রতের সঙ্গে দেশীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় অবদান রাখা শুদ্ধধারার শিল্পীদের সম্মানিত করতে ১২ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে শুভজন।
এ বছর দীর্ঘ দুই বছরের বিরতির পর শুভজন পদক প্রদান অনুষ্ঠান আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রতি বছর শুভজন পদক প্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য নগদ দশ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড, ব্রোঞ্জ এওয়ার্ড ট্রফি ও শুভজন শংসাপত্র দেয়া হয়।
বিগত ১০ বছর যাবত এ পদক দেয়া হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় ‘শুভজন পদক ২০২৩ পাচ্ছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম। দেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও সংগীতাঙ্গনে তার অসামান্য অবদানের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাকে এ পদক দেয়ার পাশাপাশি ‘শুভজন’ উপাধিতে ভূষিত করা হচ্ছে।
খুরশীদ আলমের সংগীত যাত্রা
১৯৪৬ সালের ১ আগস্ট জয়পুরহাটে জন্মগ্রহণ করেন খুরশীদ আলম। ছোট বেলা থেকেই সংগীতের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ১৯৬৭ সালে শাহবাগ বেতারে প্রথম গান গাওয়ার মাধ্যমে তিনি সংগীতের দুনিয়ায় পা রাখেন। তার কণ্ঠে জনপ্রিয় হয়েছে বহু গান, যেমন—‘মাগো মা ওগো মা’, ‘চুরি করেছ আমার মনটা’, ‘নাচ আমার ময়না’, ‘তোমার নামে শপথ নিলাম’, ‘শোনো ভাইয়েরা কথা শোনো’, ‘ওই আমি বাঘ শিকার যামু’, ‘সাগর কন্যারে’, ‘পাখির বাসার মতো চোখ দুটি তোমার’, ‘দুটি নয়নে স্বপনও চয়নে’, ‘চোখে চোখ পড়েছে যখনই’, ‘ধীরে ধীরে চল ঘোড়া’, ‘লেখাপড়া জানতাম যদি’, ‘এ আকাশকে সাক্ষী রেখে’, ‘যে সাগর দেখে তৃপ্ত দুচোখ মুগ্ধ তোমার মন’, ‘ঝলক দিয়া কাকন পরে’, ‘সূর্যটা আগুনের পিণ্ড’, ‘খোঁপার বাগান খালি করে ওই গোলাপটা আমায় দাও’ ইত্যাদি। ৫০ বছরের দীর্ঘ সংগীত জীবনে তিনি ৪২৫টির বেশি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
অন্যন্য পুরস্কার
বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালে তাকে একুশে পদক প্রদান করে। যা দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান। এছাড়া তিনি টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্রাব) পুরস্কার, চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস-এ আজীবন সম্মাননা, ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদকসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।