নায়িকা শেউন ঘা
দক্ষিণ কোরিয়ার শোবিজে মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছিলেন শেউন ঘা। কোরীয় পপ ব্যান্ড ‘বাবা’-তে যোগ দেয়ার মাধ্যমে তিনি দ্রুত সাড়া ফেলেছিলেন। একের পর এক জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যান। ২০১৭ সালে শোবিজে তার পা রাখার পর তার পপ তারকা হিসেবে ভবিষ্যত দেখে অনেকে।
তবে শেউন শুধু একা নন। এর আগেও অনেক কোরিয়ান ব্যান্ডের সদস্যরা নিজের জগৎ বদলে অন্য পেশায় জীবন কাটিয়েছেন। কেউ নাচের জগতে মনোনিবেশ করেছেন। আবার কেউ সম্পূর্ণ ভাবে ভিন্ন কোনো পেশা বেছে নিয়েছেন। স্কুলের শিক্ষক বা সাধারণ চাকরিও বেছে নিয়েছেন কোনো কোনো পপ তারকা।
তবে শেউনের ব্যান্ড ছাড়ার পেছনের কারণ হিসেবে শোনা যায়, এক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এরপর একটি বিজ্ঞাপনের অডিশন দিতে গিয়ে তার জীবনে অপ্রত্যাশিত একটি ঘটনা ঘটে যায়। প্রাপ্তবয়স্কদের ভিডিওতে কাজ করার প্রস্তাব আসে তার কাছে।
পপ তারকার আসন থেকে সরে আসার পর মডেলিং ও অভিনয়ের মতো পেশায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন শেউন। এ প্রস্তাবটি আসতেই তিনি সেই প্রাপ্তবয়স্ক ভিডিওতে কাজ করার সম্মতি দেন। মাত্র ২০ বছর বয়সে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করতে শুরু করেন এই কোরীয় মডেল। ২০২০ সালের জুন মাসে নীল ছবির জগতে পা রাখেন শেউন।
মাত্র দুইমাসের মধ্যে ৪০টি ভিডিওতে কাজ করেন শেউন। প্রতি ২-৩ দিনের মধ্যে একটি ভিডিওতে অভিনয় শেষ করতেন। শেউনই প্রথম পপ শিল্পী যিনি ব্যান্ড ছাড়ার পর এই ধরনের পেশা বেছে নিয়েছিলেন।
তার ভিডিওগুলো এতই জনপ্রিয় হয় যে তিনি প্রতি ভিডিওর জন্য ১২ লক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পেতে শুরু করেন। শোনা যায়, তিনি তার প্রথম ভিডিওটি শেষ করার পর পারিশ্রমিক হিসেবে একটি সেডান গাড়ি পেয়েছিলেন।
২০০০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে জন্ম শেউনের। মাত্র ২৪ বছরে পর্নজগতে তারকার তকমা পান তিনি। পূর্ব পেশার খাতিরেও তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। বিশেষ করে তার নিষ্পাপ গড়নের জন্য তিনি বিখ্যাত ছিলেন ‘বাবা’য়। পপ তারকা ইমেজকে কাজে লাগিয়ে বিশেষ ধরনের ভিডিওতেও দ্রুত উন্নতি করতে থাকেন।
আপন দেশ/এমবি/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।