Apan Desh | আপন দেশ

নায়িকা অঞ্জনার মৃত্যু নিয়ে রহস্য

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:০২, ৪ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১৭:০৬, ৪ জানুয়ারি ২০২৫

নায়িকা অঞ্জনার মৃত্যু নিয়ে রহস্য

ফাইল ছবি

হাসপাতাল থেকে ঘরে ফেরা হলো না খ্যাতিমান চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমানের। এক সপ্তাহের বেশি সময় চিকিৎসা নিয়ে শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) রাত ১টা ৩৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ নায়িকা। তবে মৃত্যু নিয়ে এবার বেঁধেছে রহস্যের জাল।

সকালে হাসপাতাল থেকে মরদেহ নেয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন অভিনেত্রীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে উপস্থিত সবার মধ্যে নানা প্রশ্ন ওঠে। মরদেহ গোসলের সময় এসব চিহ্ন স্পষ্ট হওয়ায় বিষয়টি আলোচনায় আসে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)-তে নেয়া হলে, এ নিয়ে চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

অঞ্জনা রহমানের মতো একজন খ্যাতিমান ও জনপ্রিয় শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে মৃত্যুর আগে পাওয়া আঘাতের চিহ্নগুলো স্বাভাবিক নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে দ্রুত এ ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ শুরু করেছে। তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর সঠিক কারণ বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। অঞ্জনার মৃত্যুতে দেশ একজন প্রতিভাবান শিল্পীকে হারাল, যা কখনো পূরণ করা সম্ভব নয়।

গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই অসুস্থ ছিলেন অঞ্জনা। এরপর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন না হলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে চেকআপের পরে তার রক্তে ইনফেকশন ধরা পড়ে। এক সপ্তাহের বেশি সময় চিকিৎসা নিলেও কোনো উন্নতি হয়নি। পরে বুধবার (০১ জানুয়ারি) তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে অঞ্জনাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

অনন্য অভিনয়ের জন্য ১৯৮১ সালে 'গাংচিল' এবং ১৯৮৬ সালে 'পরিণীতা' চলচ্চিত্রের জন্য অঞ্জনা রহমান দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এ ছাড়া মোহনা, পরিণীতা ও রাম রহিম জন চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরীর 'সেতু' চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে অভিনয় জীবনে পথচলা শুরু করেন অঞ্জনা। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত 'দস্যু বনহুর'। রহস্যভিত্তিক এ সিনেমাতে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা।

প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন গুণী এ অভিনেত্রী। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো- সুখের সংসার, যাদু নগর, সখী তুমি কার, নেপালী মেয়ে, রাখে আল্লাহ মারে কে, একই রাস্তা, অঙ্কুর, মাধবীলতা, জবরদস্ত, জিদ্দী, আশীর্বাদ, শাহী কানুন, রূপসী বাংলা, বাপের বেটা, মরুর বুকে, প্রমাণ, বিক্রম, আকাশপরি, রাজার রাজা, বিধিলিপি, দিদার, আনারকলি, অগ্নিপুরুষ, টার্গেট, আন, মহারাজ, মানা, আশার প্রদীপ, প্রতিরোধ, বেদনা, সোনার পালঙ্ক, চোখের মনি, প্রেমের সমাধি, ঈমানদার, অংশীদার, সুখ, দোযখ ইত্যাদি।

আপন দেশ/এসএমএস

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়