চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি
একটি মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানির বিজ্ঞাপনে শিশুশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। জীবনের নানা বাঁক বদলের পর আজকের ঢাকাই সিনেমার পূর্ণাঙ্গ চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। মাঝে মুটিয়ে যাওয়া শরীর নিয়ে অনেক গঞ্জনা সইতে হয়েছে এ অভিনেত্রীকে। তবে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করেই দেশ ছাড়লেন দীঘি।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে মধ্যরাতে ঢাকা ছাড়ার কথা জানান তিনি। তবে কেন ঢাকা ছাড়লেন আর কেনইবা যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। দীঘির ঢাকা ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দেয়ার ঘটনায় নানা রকম কথা শোনা যাচ্ছে।
কেউ বলছেন, দীঘি নিউইয়র্কে একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছেন। ওই অনুষ্ঠানের পরেই ঢাকাই সিনেমার এ নায়িকা দেশে ফিরে আসবেন। তবে আরেকটি সূত্র দীঘির এ যুক্তরাষ্ট্র সফরকে একটি ভ্যাকেশন বা ছুটি কাটানোর অংশ হিসেবে উল্লেখ করতে চাইছেন।
নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে ভ্রমণকালীন একটি ছবি পোস্ট করেছেন দীঘি। ওই ছবিতে তার হাতে একটি বই দেখা যাচ্ছে। ক্যাপশনে লিখেছেন, অনুমান করতে পারো কে তার স্বপ্নে বাস করে? আলহামদুলিল্লাহ।
সম্প্রতি দীঘি আলোচনায় ছিলেন বডি শেমিং প্রসঙ্গে। একটা সময় প্রচুর বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছিলেন ঢাকাই সিনেমার এ নায়িকা। অসুস্থতার কারণে শারীরিক স্থূলতা, এবং সে থেকে সমালোচকদের নানান মন্তব্য অনেকটা প্রভাবিত করে দিঘীকে। কিন্তু দমে যাননি তিনি। নিজের লক্ষ্য অর্জনে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন, শরীরকে ফিট করার জন্য আরও কঠিন পরিশ্রম চালিয়ে গেছেন দিঘী।
বডি শেমিং নিয়ে একটা সময় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন জানিয়ে দীঘি বলেন, একটা সময় ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ এত এত শুনতাম, এতে একের পর এক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হতো। একটা সময় আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। তখন ডায়েট হচ্ছে না, জিমও হচ্ছে না; আবার মোটা হয়ে গেলাম। এরপর যখন ঠিক করলাম, আমাকে শুকাতেই হবে, তখন আবার হলো কোভিড।
দীঘি আরও বলেন, সুস্থ হতে আমাকে অসম্ভব হাই পাওয়ারের ওষুধ দেয়া হলো, যেটাতে স্টেরয়েড থাকে। ওটা শরীরে যাওয়াতে এতটা লেভেলে ফুলে গেলাম, আমার নিজেরই মনে হচ্ছিল কি একটা হয়ে গেছি আমি। আমার বডি অনেক ভারী হয়ে গেল এবং দুর্বল হয়ে গেলাম। আমি যে একটু না খেয়ে থাকব এটা আমার পক্ষে সম্ভবই হয়ে উঠছিল না, তখন আমি খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। স্টেরয়েডের জন্য যেটা হয়, কিছুতেই শুকানো যায় না। একটা বছরের মতো ভুগতে হয়েছে, প্রচুর কষ্ট হয়েছে শুকাতে। তখনই মনে হয়েছে আমি মনে হয় আর পারব না।
একটি সময় শিশুশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তা ছিল দীঘির। বর্তমানে পুরোদস্তুর নায়িকা তিনি। অভিনয়ে প্রশংসা কুড়ালেও সামাজিক মাধ্যমে টিকটক, রিল ভিডিও বানানো নিয়ে প্রায়ই সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। তবে বডি শেমিংয়ের বিষয়টিও চলে এসেছিল একসময়।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।