শেষের কবিতা’র লাবন্য ও অমিত চরিত্রের খন্ডাংশ। ছবি: আপন দেশ
নাচে,গানে, অভিনয়ে ও পোষাকের সাজসজ্জায় এশিয়ার বিখ্যাত সব কবি সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্মকে নান্দনিকতার ছোঁয়ায় তুলে এনেছেন শিল্পীরা। এতে যেমন গানের সঙ্গে স্থান পেয়েছে নৃত্য, ঠিক তেমনি কালজয়ী সাহিত্যের চরিত্রগুলোও উঠে এসেছে পরিবেশনার সুনিপুন গাঁথুনিতে। সুরের মূর্চ্ছনার সঙ্গে নাচের মুদ্রার শৈল্পিকতা ও কপোত-কপোতীর রোমান্টিক সব সংলাপ অনন্য করে তুলেছিলো মাঘের শীতের সন্ধ্যার এ আসরকে।
শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটির আয়োজনে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ছায়ানট মিলনায়তনে বসে ‘এসো সুতোর কাব্য গাথি ধ্রুপদী ফোঁড়ে’ শীষর্ক ব্যতিক্রমী এ শিল্পের আসর।
ররবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’র লাবন্য ও অমিত চরিত্রের কিছু অংশ বিশেষ, নজরুলের প্রমিলা দেবীকে, শরৎ চন্দ্রের ‘পরীণিতা’ উপন্যাসের শেখর ও ললিতা এবং সত্তজিৎ রয়ের অপুর সংসার সিনেমার অপু ও অর্পনার কিছু রোমান্টিক সংলাপের অংশ বিশেষ, সুনীল গঙ্গপাধ্যায়ের ‘হঠাৎ নীরার জন্য কবিতা ও নীরা চরিত্র’, জীবনানন্দ দাসের বনলতাসেন সহ নজরুলের আলগা করগো খোপার বাধন গানের সঙ্গে চমকপ্রদ নৃত্য মুগ্ধতা ছড়িয়েছে ভিন্নধর্মী এ আসরে।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্ববধায়নে ছিলেন ফ্যাশন গবেষক নুসরাত জাহান নিপা। তার গবেষনাকে বাস্তবরূপ দিতে এ গবেষনা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তরুন ডিজাইনার স্বর্নালী, মেহেরিন, শক্তি ভৌমিক, রেজোয়ানা প্রমুখ।
ভিন্নধর্মী এ আয়োজনের বিষয়ে নুসরাত জাহান নিপা বলেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে শিল্প সাহিত্যের আলোড়ন সৃষ্টি করা ও মানবিকবোধ তৈরি করাই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। কারণ, শুধুমাত্র গল্প উপন্যাস, সিনেমা এবং সাহিত্যই পারে একটি সংস্কৃতির সময়কে তুলে ধরতে। তাছাড়া গল্প ও সংস্কৃতির মিশ্রনকে পোশাকের মাধ্যমে তুলে ধরা। ওই পিরোডিকাল সময়কে বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রকাশ করাই ছিল একমাত্র লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগ, নৃত্য বিভাগ, কলা অনুষদসহ ফিল্ম ও সাহিত্যের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
