বলিউড নবাব সাইফ আলী খান
দুষ্কৃতীকারির হামলায় গুরুতর জখম হয়ে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল ভর্তি হয়েছিলেন বলিউড নবাব সাইফ আলী খান। সেখানে দীর্ঘ সময় ধরে অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন এ অভিনেতা। এরইমধ্যে হাসপাতাল ছেড়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি স্ত্রী, পুত্রদের নিয়ে ফিরলেন পুরনো বাড়িতে, বান্দ্রার ‘ফরচুন হাইটস’ এ। আবাসনে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন রাখা হয়েছে। সেখানকার পরিবেশে অভিনেতার সুস্থতা হওয়া দ্রুত হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাদের পরামর্শ, আগামী ২ মাস অভিনেতাকে বিশ্রামে থাকতে হবে। শুটিং, জিম একেবারে বাদ।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আপাতত ভালো আছেন অভিনেতা কিন্তু অস্ত্রোপচার হওয়ার কারণে কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে।
গত ১৫ জানুয়ারি গভীর রাতে সাইফ আলী খানের বাড়িতে ঢুকে ডাকাতির চেষ্টা চালায় এক ব্যক্তি। এ সময় সাইফ আলি খান তাকে বাধা দিতে গেলে হামলার শিকার হন। তাকে উপর্যুপরি ছয়টি ছুরিকাঘাত করা হয়। রাত আড়াইটার দিকে অটোরিকশাতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে অস্ত্রোপচার করে তার শরীর থেকে বের করা হয় ভাঙা ছুরির টুকরা। এরপর সাইফকে রাখা হয় আইসিইউতে।
তিন দিনের অনুসন্ধানে মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শাহজাদ (৩০) নামে একজনকে ধরার পর মহারাষ্ট্র পুলিশ বলছে, এই যুবক বাংলাদেশি। চুরির উদ্দেশে ঢুকে ধরা পড়া এড়াতে সাইফকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়েছিলেন তিনি।
প্রাথমিকভাবে মুম্বাই পুলিশের ধারণা, ওই হামলাকারী বাংলাদেশি নাগরিক হতে পারে। কারণ তার কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণস্বরূপ কোনও নথি পাওয়া যায়নি। আবার এমন কিছু পাওয়া গেছে, যা থেকে ধারণা করা যাচ্ছে যে তার বাড়ি বাংলাদেশে।
তার বিরুদ্ধে পুলিশের প্রথম অভিযোগ, তিনি অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছেন। এ দেশে গত পাঁচ-ছ’মাস ধরে নাম বদলে বদলে নানা জায়গায় কাজের সন্ধান করে বেড়াচ্ছিলেন।
পুলিশের দাবি, বিজয় দাস নাম নিয়ে গত ৫-৬ মাস ধরে মুম্বাইয়ে থাকছিলেন শরীফুল। তিনি কাজ নিয়েছিলেন একটি হাউজকিপিং কোম্পানিতে। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার ডিসিপি দীক্ষিত গেদম জানান, শরিফুল স্বীকার করেছেন কাজের অভাবেই চুরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। প্রথম রাতেই ঢুকেছিলেন সাইফের ঘরে। কিন্তু জানতেন না কার বাড়ি চুরি করতে যাচ্ছেন।
এদিকে সাইফের ওপর হামলার ঘটনাটি ‘পুনর্নির্মাণ’ করতে শরিফুলকে নিয়ে বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। এক ঘণ্টা পর পুলিশ সেই হামলাকারীকে সঙ্গে নিয়ে এ বলিউড দম্পতির বাসা থেকে বের হয়েছিল। তার আগে হামলার পর যেখানে যেখানে শরিফুল থেমে ছিল, সেখানে তাকে নিয়ে গিয়েছিল মুম্বাই পুলিশ। বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনের পুলিশ এখন শরিফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।