Apan Desh | আপন দেশ

ব্ল্যাকমেইলের শিকার কন্নড় অভিনেত্রী

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫০, ৯ মার্চ ২০২৫

ব্ল্যাকমেইলের শিকার কন্নড় অভিনেত্রী

ভারতের কন্নড় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রান্যা রাও

২০১৪ সালে ‘মানিক্য’ সিনেমায় কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার সুদীপের বিপরীতে অভিনয় করে রাতারাতি খ্যাতি লাভ করেন রান্যা রাও। পরে আরও কয়েকটি দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ অভিনেত্রী। সম্প্রতি স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন রান্যা।  

গত ৩ মার্চ  দুবাই থেকে বেঙ্গালুরু ফেরার পর ভারতের ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)-এর কর্মকর্তারা তাকে আটক করেন। আদালতের নির্দেশে তাকে ডিআরআই-এর হেফাজতে রাখা হয়েছে। 

তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, রান্যা রাও বিশেষভাবে তৈরি পোশাক পরে এবং পোশাকের ভেতরে স্বর্ণ লুকিয়ে পাচার করছিলেন। মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে চারবার দুবাই ভ্রমণের কারণে তার উপর সন্দেহ সৃষ্টি হয়। এরপর তাকে নজরদারিতে রাখা হয় এবং বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে নামার পর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

হিন্দুস্তান টাইমস থেকে জানা যায়, গ্রেফতারের পর রান্যা রাও দাবি করেছেন, তিনি ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছেন এবং তাকে জোর করে স্বর্ণ পাচারে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ওই কনস্টেবল রান্যা রাওকে বিমানবন্দর থেকে নিরাপদে বের হতে সাহায্য করছিলেন।

রান্যা রাও গ্রেফতার হওয়ার পর বেঙ্গালুরুর লাভেল রোডের নন্দওয়ানি ম্যানসনে তার বাসভবনে অভিযান চালায় গোয়েন্দারা। অভিযানে ২.৬৭ কোটি রুপি নগদ অর্থ ও ২.০৬ কোটি রুপি মূল্যের সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়। এছাড়া তিনটি বড় বাক্স থেকে মোট ১৭.২৯ কোটি রুপির সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়।

ডিআরআই কর্মকর্তারা আগে থেকেই রান্যা রাওয়ের কার্যকলাপের ওপর নজর রাখছিলেন। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে এমিরেটসের একটি ফ্লাইট থেকে নামার পর তিনি পুলিশ কনস্টেবল বাসবরাজুর সহায়তায় নিরাপত্তা তল্লাশি এড়ানোর চেষ্টা করেন। তবে গোয়েন্দারা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তল্লাশির সময় তার জ্যাকেটের ভেতর থেকে ১৪.২ কেজি বিদেশি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১২.৫৬ কোটি রুপি।

বেঙ্গালুরুর অর্থনৈতিক অপরাধের বিশেষ আদালত রান্যা রাওকে ১০ মার্চ পর্যন্ত ডিআরআই-এর হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তাকে প্রতিদিন আধা ঘণ্টার জন্য আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ডিআরআই-কে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা অনুসরণ করে তদন্ত পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে রান্যা কোনো প্রকার হুমকির সম্মুখীন না হন এবং প্রয়োজনীয় মৌলিক সুবিধা পান।

এদিকে, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে স্বর্ণ পাচারের তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। ধারণা করা হচ্ছে, রান্যা রাও আন্তর্জাতিক সোনা পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়