
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
ট্রোল ও কটাক্ষের জবাব দিতে পিছপা নন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। বরাবরই স্পষ্টভাষী এ অভিনেত্রী এবারও বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে করা কটাক্ষের মোক্ষম জবাব দিলেন। তাই ইন্ডাস্ট্রিতে ঠোঁটকাটা অভিনেত্রী হিসেবেই রয়েছে পরিচিতি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় থাকেন স্বস্তিকা। মাঝেমধ্যেই তাকে মেয়ে অন্বেষাকে নিয়ে ছবি-ভিডিও পোস্ট করতে দেখা যায়।
সম্প্রতি মেয়েকে নিয়ে এক সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করতেই ট্রোলের মুখে পড়তে হলো স্বস্তিকাকে। কটাক্ষ করা হলো বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে। যার মোক্ষম জবাব দিতে ভুললেন না অভিনেত্রী।
মেয়ে অন্বেষা কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন। সেখান থেকেই মাঝে মধ্যে তাকে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায়। আর উইকেন্ডে চুটিয়ে ছুটি উপভোগ করছেন স্বস্তিকা-কন্যা।
আর মেয়ের সেই ছবি দেখে নিজের শহরে গাড়িতে বসে একটি সেলফি পোস্ট করলেন স্বস্তিকা। ক্যাপশনে লিখলেন, যে যেখানে থাকেন, সেটাই তার দেশ। মাতৃভূমি মাতৃভাষার মতোই সবচেয়ে সুন্দর। সবচেয়ে প্রিয়। সবচেয়ে প্রাণের। কিন্তু দেশ যেখানে থাকি সেটাই। যাক এটা নিয়ে তর্ক পরে হবে। মেয়ে নিজের দেশে এদিক ওদিক যাচ্ছে, আর ফটো পাঠাচ্ছে।
এরপর খানিকটা আক্ষেপের সুরেই স্বস্তিকা বলেন, আমার বয়স কম হলে আমিও কেন সেসব ঘুরে দেখতে পারছি না বলে গাল ভারী করতাম। এখন যেখানে আছি সেখান থেকেই হাসিমুখে ছবি তুলি। আমিও আমার দেশেই, গাড়ি করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় কাজ করে বেড়াচ্ছি। যেদিন মেয়ের সঙ্গে আবার দেখা হবে সেদিন আমার ছুটি হবে। মা বলত- এমন দিন আসবে দেখবি পায়ের তলায় চাকা। সেই কথাই ঘটলো, টোটো কোম্পানি হয়ে খালি হিল্লি দিল্লি করে বেড়াচ্ছি। আর বুঝলাম গাড়িতে তোলা সেলফিটাই বেস্ট।
অভিনেত্রীর এ পোস্টে এক নেটিজেন মন্তব্য করেন ‘বাংলাদেশে গেছে কি?’ জবাবে প্রতাপ সঙ্কর নামক ওই ব্যক্তিকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন স্বস্তিকা।
তিনি বলেন, আমি গেছি। আবার যাব। যার যেখানে দরকার সেখানেই যাবে। আপনার মতে, আমি কেন কেউই কোথাও যাবে বলে মনে হয় না। আপনি গিয়ে ঘুরে আসুন।
এরপর আরেক নেটিজেন লেখেন, বাংলাদেশ নিয়ে কত লেখালেখি করতেন, টাইমলাইন ভরে থাকত ছাত্র আন্দোলন, বিপ্লব ইত্যাদি ইত্যাদি যাবতীয় ঘটনা প্রবাহ। এখন আর কিছু লেখেন না কেন? খরচা পানি আসা বন্ধ হয়ে গেছে বুঝি?
এমন মন্তব্যের জবাবে সে নেটিজেনকে ব্যাঙ্গ করে স্বস্তিকা সম্মতি জানিয়ে লেখেন ‘হ্যাঁ’।
পড়াশোনা থেকে কাজ সবকিছুই বিদেশে স্বস্তিকা কন্যা অন্বেষার। মাঝেমধ্যেই অভিনেত্রীকে মেয়ের কাছে চলে যেতে দেখা যায়। মেয়ে খুব অল্প বয়সেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন। মেয়ের সঙ্গে অভিনেত্রীর সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। সিঙ্গল মাদার হয়েই অন্বেষাকে মানুষ করেছেন তিনি। মেয়েই অভিনেত্রীর সুখ-দুঃখের বন্ধু।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।