
শাহরিয়ার নাজিম জয়
জনপ্রিয় অভিনেতা ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার খবর সামনে আসতেই ক্ষোভে ফুসছে শোবিজ দুনিয়া। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে থাকার পরও কেন ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা- জানতে চেয়েছেন নেটিজেনরাও। এ অভিনেতার হয়ে কথা বলেছেন অনেকেই। সেই তালিকায় আছেন উপস্থাপক ও জনপ্রিয় অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ও।
ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে জয় শেয়ার করেছেন নিজের জীবনের কথাও। তিনি জানিয়েছেন, মাসখানেক আগে তার বিরুদ্ধে যখন মামলা হয়, তখন কিভাবে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছিল তাকে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ফেসবুক পোস্টে জয় লিখেছেন, ইরেশ যাকেরের নামে মামলা দেয়ায় শিল্পী সমাজের সঙ্গে আমিও তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আট মাস আগে আমার বিরুদ্ধেও এমন একটি হয়রানিমূলক মামলা হয়েছিল। সেসময় একমাত্র আশফাক নিপুণ ছাড়া আর কাউকে পাশে পাইনি। বরং বাদ পড়েছি বিভিন্ন কাজ থেকে।
এ অভিনেতা আরও বলেন, আমেরিকায় শো করতে গিয়ে দুই একজন অতি উৎসাহী কলিগের কারণে মঞ্চে উঠা তো দূরের কথা আমাকে হোটেল থেকেও বের হতে দেয়নি। মামলার কারণে সামাজিকভাবে হয়েছি হেনস্তার শিকার। অনেক আত্মীয় আত্মীয়তা ভঙ্গ করেছে। অনেক কলিগ ফোনও ধরেনি। যোগাযোগ করেনি।
আরওপড়ুন<<>>জুলাই আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন ইরেশ যাকের: ফারুকী
জয় বলেন, শুনেছি, আমার বিরুদ্ধে যে মামলা করেছিল তিনি নাকি এখন থানায় আটক আছে। বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ভুয়া মামলা দিয়ে টাকা খাওয়ার অপরাধে। পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পায়নি। পুলিশ এবং রাষ্ট্র কোনো হয়রানি করেনি। বরং হয়রানি করেছে, আমার পরিচিত কাছের স্বজনেরা এবং চিরকালের বন্ধুরা।
শেষে এ অভিনেতা লিখেছেন, আমি কাউকে দোষারোপ করছি না। সকলকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আমার নিজের ছোটখাটো ভুলের জন্য বারবার ক্ষমা চেয়েছি। বড় অপরাধী এবং অপরাধকে ছোট করে ফেলে এ ধরনের মামলা। যেখানে এমন একজন সেলিব্রেটির নাম ঢুকিয়ে দেয়া হয় যে, মামলার চেয়ে তাকে নিয়ে চর্চা হয় বেশি। তখন আসল অপরাধীরা মুচকি হাসে। মামলাটাকে হাস্যকর মনে করে। এতে বিচার প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। আমরা চাই অপরাধীর বিচার হোক। যে যার জায়গা থেকে নতুন বাংলাদেশে ভুল সংশোধন করে নতুন করে বাঁচুক। সকলে সকলের প্রতি সহানুভূতিশীল হোক।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর মিরপুরে মাহফুজ আলম শ্রাবণ হত্যার অভিযোগে অভিনেতা ইরেশ যাকেরসহ ৪০৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল নিহতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন। ওইদিন আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে নিয়মিত মামলা হিসেবে নেয়ার নির্দেশ দেন।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।