প্রতীকী ছবি
দেশে রোবটিক এনজিওপ্লাস্টি বা হার্টের রিং বাসানো শুরু হয়েছে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হৃদরোগ চিকিৎসায় সর্বাধুনিক এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো দুইজন হৃদরোগীর হার্টে বিনামূল্যে রিং পরানো রোবট। এর মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা দূরে থেকে নিখুঁতভাবে রোগীর হার্টের ধমনীতে রিং পরাতে পারবেন।
রোববার (২১ জানুয়ারি) হাসপাতালটির সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতিটির উদ্বোধন করেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন, কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. সালাউদ্দিন।
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ বিশ্বে ১৬০টি দেশে রোবটিক এনজিওপ্লাস্টি (রোবট দিয়ে হার্টের রিং পরানো) সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে ভারতে ছয়টি। রোবটিক এনজিওপ্লাস্টি বর্তমানে পৃথিবীতে হার্টের রিং পরানোর সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। কার্ডিওলজিস্টরা এখনও ক্যাথল্যাবে রোগীদের কাছে গিয়ে হার্টের রিং পরান। এর সর্বশেষ আবিষ্কার হলো রোবটিক এনজিওপ্লাস্টি, বা রোবট দিয়ে হার্টের রিং পরানো।
আরও পড়ুন>> বিশ্ব ব্যাংক ৭০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে
আধুনিক এ চিকিৎসার বিষয়ে বর্ণনা দিতে গিয়ে ডাক্তাররা বলেন, এই রোবটের দুটি অংশ থাকে। একটি হলো রোবটের হাত; যা ক্যাথল্যাবে থাকে। আরেকটি থাকে কন্ট্রোল সেকশন, যেখান থেকে মূলত কার্ডিওলজিস্ট পুরো রিং পরানো কার্যক্রমটি দূর থেকে সম্পন্ন করে থাকেন।
এ কাজে তিন ধরনের সুবিধার কথা জানান ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার। বলেন, প্রথম সুবিধা হলো হার্টের রিং পরানোর জটিল প্রক্রিয়াটি রোবটের মাধ্যমে খুব সূক্ষ্ম ও নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হয়। নিখুঁতভাবে পজিশন করার জন্য এক মিলিমিটার সামনে অথবা এক মিলিমিটার পিছনে নেয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে, যা হাত দিয়ে করলে নিখুঁতভাবে করা বেশ কঠিন। কিন্তু রোবটের মাধ্যমে নিখুঁতভাবে এটি সম্পন্ন করা যায় বলে জানান তিনি।
আপন দেশ/এসএমএ
