ছবি: সংগৃহীত
দেশেই মোট চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত প্রায় সব ওষুধই বিশ্বের ১৫৭ দেশে রফতানি করা হচ্ছে। ওষুধ বিদেশে রফতানিতে উৎসাহী করতে চলতি বছর ১০ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্ব করেন।
এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্পে উত্তরোত্তর উন্নতি করেছে। বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের ১৫৭টিরও বেশি দেশে প্রায় সব ধরনের ওষুধ রফতানি করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে প্রায় পাঁচ হাজার ৯০০ কোটি ৫৪ লাখ ৫৬ হাজার ৯০৩ টাকার ওষুধ বিদেশে রফতানি হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রায় ৩২ ধরনের ওষুধ, সরকারি হাসপাতালকে ১০৫ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন>> চিকিৎসকদের ওপর হামলার উপযুক্ত শাস্তি হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সরকারি দলের এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭২১ জন মারা গেছে। ঢাকা শহরে এডিস মশার প্রাক-মৌসুম, মৌসুম ও মৌসুম-পরবর্তী জরিপ চলমান রয়েছে। জরিপের ফলাফল সংশ্লিষ্ট সকল সিটি করপোরেশনকে অবহিত করা হচ্ছে।
২০২৩ সালে প্রাক-মৌসুম জরিপ সম্পন্ন হয়েছে, জরিপের ফলাফল সংশ্লিষ্ট সকল সিটি করপোরেশনে পাঠানো হয়েছে। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে প্রাক-মৌসুম জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে মৌসুম জরিপ চলমান আছে।
একই প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এডিস মশার জরিপ কার্যক্রম ২০২২ ও ২০২৩ সালে ঢাকা শহরের বাইরে দেশে বিভিন্ন জেলায় যেমন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, চাঁদপুর, মাদারীপুর, বরগুনা, পাবনা-রূপপুর, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, যশোর ইত্যাদি জেলা ও বিভাগীয় শহরে সম্পন্ন হয়েছে। জরিপের ফলাফল সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনকে নিয়মিতভাবে প্রদান করা হচ্ছে।
এছাড়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই মাস পরপর এডিস মশার জরিপ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
আপন দেশ/এসএমএ