ছবি: সংগৃহীত
মাথাব্যথা খুব অস্বাভাবিক কোনো সমস্যা নয়। ঋতু পরিবর্তন বা হালকা জ্বর হলেও মাথাব্যথা হতেই পারে। তবে মাইগ্রেন কোনো সাধারণ মাথা ব্যথার সমস্যা নয়। এ সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা তীব্র মাথাব্যথা সহ্য করেন। মাথায় নির্দিষ্ট স্থানে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়, টন টন করে।
এছাড়া চোখে আলো পড়লে বা তীব্র বাতাসে সংবেদনশীলতার কারণে অস্বস্তি, মাথাব্যথার তীব্রতা বেড়ে ওঠা বা বমি বমি ভাব হওয়াও মাইগ্রেনের উপসর্গ। এ যন্ত্রণা কয়েক ঘণ্টা থেকে একাধিক দিন অবধিও স্থায়ী হতে পারে।
মাইগ্রেনের সমস্যা সকলের মধ্যে দেখা যায় না। ধারণা করা হয়, এ সমস্যা বংশ পরম্পরায়ও স্থানান্তরিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত জেনেটিক ও পরিবেশগত অবস্থার কারণে বিশ্বব্যাপী শতকরা ১০ ভাগ মানুষ মাইগ্রেনে ভোগেন। জেনেটিক সংক্রান্ত কারণে মাইগ্রেন আংশিকভাবে দায়ী বলে মনে করা হয়।
তবে পেরিফেরাল ট্রিগারের কারণেও মাইগ্রেন হতে পারে। পুরুষদের তুলনায় নারীদের এ রোগের তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিতে থাকে। আসুন, তাহলে জেনে নেয়া যাক কোন কোন কারণে মাইগ্রেন হতে পারে-
লিঙ্গভেদ: নারী ও পুরুষদের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য থাকলেও ভিন্ন লিঙ্গের কারণে নানারকম হরমোনের তারতম্য দেখা যায়। নারীদের শরীরে থাকা হরমোনের ব্যবস্থাপনার কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রভাবক: মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব, আবহাওয়ার পরিবর্তন, তীব্র গন্ধ সৃষ্টিকারী অস্বস্তি কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা প্রভাবিত হতে পারে। এ ঘটনাগুলো শনাক্ত করে এড়িয়ে চললে উপকার হতে পারে।
বংশ: অনেক সময়ের একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মাইগ্রেন স্থানান্তরিত হয়। সাধারণত বাবা মায়ের থেকে মাইগ্রেনের জিন শিশুদের শরীরে বাসা বাঁধে।
চোখ: মাথার সঙ্গে চোখের বেশ গভীর যোগসূত্র রয়েছে। তাই অনেকে মাইগ্রেনের আগে চোখের ঠিক মতো দেখতে পান না। একে অরাস বলে।
খাদ্য: ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন১২, ভিটামিন ডি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের মতো কিছু খাদ্য উপাদানের অভাবে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে পারে।
তথ্যসূত্র: নিউজ১৮
আপন দেশ/এসএমএ