ছবি: সংগৃহীত
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে ৪১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলার জন্য করোনার সময় থেকে সরকার বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে আসছে। এ বছরও এখাতে ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব করছি।’ এক্ষেত্রে ২ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নতুন মন্ত্রী, এ বাজেটও আমার জন্য নতুন। আমি এটাকে ভালোই বলব। চেষ্টা করব এ বাজেটের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে। অহেতুক কোনো প্রকল্প নেব না। যে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, এটাও স্বাস্থ্য খাতের জন্য বড় ব্যাপার। এটারও প্রয়োজনমতো যৌক্তিক ব্যবহার হবে। তবে এ বিশেষ বরাদ্দ মূল বাজেটের ভেতরে না আলাদা, সেটা আমি বুঝতে পারছি না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতির অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, ২ হাজার কোটির টাকার বিশেষ বরাদ্দ খুবই বড় উদ্যোগ। খুবই বড় চমক। তবে এটা নিয়ে বিভ্রান্তিও আছে। গত অর্থবছরে এমন কোনো বিশেষ বরাদ্দ ছিল না। তার আগে কোভিডের সময় ছিল। কিন্তু যদি এ টাকার অঙ্কটি মূল বরাদ্দের মধ্যে থাকে, তবে তো খুব একটা লাভ হবে না।
আরও পড়ুন>> ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কৃচ্ছ্রসাধন অব্যাহত থাকবে’
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩৮ হাজার কোটি। সেখানে এবার হয়েছে ৪১ হাজার কোটি। বেড়েছে ৩ হাজার কোটি। এখন যদি ৪১ হাজার থেকে ২ হাজার বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়, তবে বাড়বে তো মাত্র ১ হাজার কোটি। তারপর সংশোধিত বাজেটে বরাবর কিছু কমে যায়। এবার তেমন কিছু হলে পরিবর্তন তো কিছুই থাকবে না।
এ অধ্যাপক আরও বলেন, এবারই এত বড় অঙ্কের বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব এলো স্বাস্থ্য বাজেটে। ফলে এটা যদি ঠিক থাকে, তবে অনেক বেশি দক্ষতা ও পরিকল্পনার সঙ্গে ব্যয় করতে হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতির অধ্যাপক ড. রুমানা হক বলেন, বিশেষ বরাদ্দ থাকা খুবই ভালো। বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে অনেক জরুরি প্রয়োজন তৈরি হয়, যখন অন্য খাতের টাকা ছাড় করানোটা সময়সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু বিশেষ বরাদ্দের টাকা থেকে যখন তখন জরুরি প্রয়োজন মেটানো যায়।
তিনি বলেন, মোট ২ হাজার ১০০ কোটির মধ্যে ১০০ কোটি নির্দিষ্ট বাজেটের বাইরে প্রস্তাব করা হয়েছে বলে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু ২ হাজার কোটি টাকা ৪১ হাজার ৪০৮ কোটির বাইরে না ভেতরে থাকছে, সেটা অনেকের কাছেই পরিষ্কার না। অর্থাৎ অনেকেই বিষয়টি সহজে বুঝতে পারছেন না। এটা স্পষ্ট থাকলে ভালো হতো।
আপন দেশ/এসএমএ