Apan Desh | আপন দেশ

স্ট্রিট ফুডে উচ্চমাত্রার ডায়রিয়ার জীবাণু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:৩৩, ৯ জুন ২০২৪

স্ট্রিট ফুডে উচ্চমাত্রার ডায়রিয়ার জীবাণু

ফাইল ছবি

রাজধানীর সড়কে বিক্রি হওয়া ছোলামুড়ি, চটপটিসহ ৬ ধরনের খাবারে উচ্চমাত্রার ডায়রিয়ার জীবাণু পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

রোববার (৯ জুন) সকালে সংস্থাটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্স সাইন্সের প্রধান বিজ্ঞানী মো. লুতফুল কবীর।

জানা গেছে, গবেষণায় সড়কে বিক্রি হয় এমন ৬ ধরনের খাবারের ৪৫০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ছোলামুড়ি, চটপটি, স্যান্ডুইচ, আখের রস, এলোভেরা জুস, মিক্সড সালাদের সংগ্রহ করা এসব নমুনায় মাত্রাতিরিক্ত ই-কোলাই, ভিবরিও এসপিপি ও সালমেনেলার মতো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। এসব জীবাণু ডায়রিয়া, পেটের পীড়ার জন্য দায়ী।

আরও পড়ুন>> দেশে সুষম খাদ্য সংকটে দুই-তৃতীয়াংশ শিশু

গবেষণায় উঠে এসেছে, দূষিত পানি, নোংরা গামছা, অপরিস্কার হাত, ধুলাময় পরিবেশের কারণে এ ধরণের জীবাণু খাবারের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। বিক্রেতাদের পরিচ্ছন্নতা ও স্যানিটেশন সম্পর্কে ধারণা কম থাকায় খাবারে সহজেই জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে। বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জুসের মগ ও গ্লাস জীবাণুবাহী হয়ে পড়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্স সাইন্সের প্রধান বিজ্ঞানী মো. লুতফুল কবীর বলেন, এসব খাবারে ই-কোলাই-সালমেনেলা উপস্থিত থাকার কথা না। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত ই-কলাই, সালমোনাই পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ভিবরিও এসপিপি ও পাওয়া গেছে। এসব খাবার খেয়ে মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে। বিক্রেতারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার নিয়ম মানেন না।

তিনি বলেন, স্ট্রিট ফুড বিক্রেতারা লাইসেন্স ছাড়াই কাজ করে। তাদের আইনি কাঠামোর মধ্যে আনলে বিক্রেতাদের জীবন জীবিকা সহজ হবে। বিক্রেতাদের প্রশিক্ষণ ও প্রাত্যহিক মনিটরিং করার ওপর জোর দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া প্রমুখ।

আপন দেশ/এসএমএ

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়