শীতকালে কোল্ড এলার্জিতে করণীয়। ফাইল ছবি
শীতকালে বিভিন্ন বয়সী মানুষের মধ্যে কিছু চর্ম রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। এর মধ্যে কোল্ড এলার্জি বা শীত সংবেদনশীলতা অন্যতম। শীত এলেই অনেক শিশু বা বয়স্ক ব্যক্তি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকে শীতজুড়েই অসুস্থ থাকেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ কোল্ড অ্যালার্জি।
কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে অনেকটাই ভালো থাকা যায়।
অ্যালার্জেন:
ঠাণ্ডা বাতাস, শীতকালীন স্পর্শকাতরতা বা সংবেদনশীলতা, সিগারেটের ধোয়া, সুগন্ধি, তীব্র গন্ধ, পত্রিকা বা বই-খাতার ধুলা, পরিবেশের দূষণ, ফুলের রেণু ইত্যাদির উপস্থিতিতে অনেকের শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি বা অ্যাজমা, সর্দি-কাশি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে বা উপসর্গ বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এসব হলো অ্যালার্জেন, যার উপসর্গে অ্যালার্জি হয়। খুব বেশি মাত্রার শীতও অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে অনেকের।
কারণ:
উপসর্গ :
>> নাক দিয়ে পানি পড়া
>> নাক চুলকানো
>> কাশি
>> শ্বাসকষ্ঠ
>> বাঁশির মতো আওয়াজ বের হওয়া
>> বুক চেপে ধরা ইত্যাদি।
চিকিৎসা ও করণীয় :
>> অ্যালার্জি টেস্ট করে কারণ নির্ণয় করুন এবং সেসব কারণ পরিহার করে চলুন।
>> অ্যালার্জি আছে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন।
>> ঠাণ্ডা বাতাস থেকে পরিত্রাণ পেতে ফ্লানেল কাপড়ের তৈরি এক ধরনের মুখোশ (ফিল্টার মাস্ক) বা মুখবন্ধনী ব্যবহার করতে পারেন। এটা মুখের অর্ধাংশসহ মাথা, কান ঢেকে রাখে। ফলে ব্যবহারকারীরা উত্তপ্ত নিঃশ্বাস গ্রহণ করতে পারেন।
>> অ্যালার্জির রোগীরা দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শে ভ্যাকসিন বা টিকা নিতে পারেন। এ টিকা দেশেই পাওয়া যায়।
আপন দেশ/কেএইচ