
প্রতীকী ছবি
দেশে দুই কোটি মানুষ কিডনির কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত এবং প্রতি বছর পঞ্চাশ হাজার মানুষের কিডনি বিকল হয়। কিডনি প্রতিস্থাপন কিংবা ডায়ালাইসিস একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা, তাই চিকিৎসা এড়াতে কিডনি রোগ প্রতিরোধের বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। কিডনির সুরক্ষা নিশ্চিতে রোগ নির্ণয়ে সময় ক্ষেপণ করা আত্মঘাতী।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে সিকেডির উপর আয়োজিত কনটিনিউইং মেডিকেল এডুকেশনে (সিএমই) এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশিদ বলেন, কিডনি রোগের কোনো লক্ষণ থাকে না। ৮০-৮৫ ভাগ অকেজো হওয়ার পর রোগী বুঝতে পারেন যে, তার কিডনি সমস্যাগ্রস্ত।
দেহের গুরুত্বপূর্ণ এ অঙ্গটি সুস্থ রাখতে চল্লিশ বছর বয়স্ক সকল নাগরিককে কিডনি পরীক্ষা করার আহবান জানান তিনি।
অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশিদ বলেন, দেশে ৫০-৬০ ভাগ ডায়াবেটিস, ৬০ ভাগ উচ্চরক্ত চাপ এবং ব্যাপক সংখ্য কিডনি রোগী জানেন না, তার শারীরিক অবস্থা কী? তারা এ ব্যাপারে কোনো পরোয়াও করেন না। কোনো লক্ষণ থাকে না বলে তারা চিকিৎসকের কাছে যান না, কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন না। তারা শুধু বলেন, আমি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তারা বলেন, আমার উচ্চরক্ত চাপ আছে। সুতরাং তারা কেন নেফ্রলজিস্টের কাছে যাবেন?’
একটি পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনি রোগ নির্ণয় করা যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তা হলো—ইউরিন টেস্ট। এ রোগের ডায়াগনোসিস সবচেয়ে সোজা। এর সোজা ডায়াগনোসিস পৃথিবীতে সম্ভবত আর কোনোটি নেই।
ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এ কে এম জিয়াউল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কলেজের সিএমইতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাজিদ আব্দুল খালেক। চেয়ারপারসন ছিলেন ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের নেফ্রলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মে. আব্দুল মুকিত।
কিডনি সমস্যা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে জানিয়ে অধ্যাপক ডা. সাজিদ আব্দুল খালেক বলেন, ঘরে ঘরে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এ আয়োজনে উপস্থিত হওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান অধ্যাপক ডা. সাজিদ আব্দুল খালেক। বলেন, আজকের উপস্থিতি প্রমাণ করে কিডনি রোগ নিয়ে আমরা সচেতন হচ্ছি।
আপন দেশ/জেডআই