Apan Desh | আপন দেশ

মশা নিধনে ১২২ কোটি টাকা ব্যয় করবে ডিএনসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ২৪ জুলাই ২০২৩

আপডেট: ২১:১২, ২৭ জুলাই ২০২৩

মশা নিধনে ১২২ কোটি টাকা ব্যয় করবে ডিএনসিসি

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম

মশা নিধনে এবার প্রায় ১২২ কোটি টাকা ব্যয় করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা, যন্ত্রপাতি কেনা, ডেঙ্গু মোকাবিলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচারকাজে এই টাকা ব্যয় করা হবে।

সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকালে এ তথ্য জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।

ডিএনসিসির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় জানানো হয় বিগত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মশা নিয়ন্ত্রণ বাবদ মোট ১১১ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিল। সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী এ খাতে ব্যয় হয় ৭৪ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী এ খাতে ব্যয়ের তুলনায় এবারের বরাদ্দ প্রায় দেড়গুণ বেশি।

এবারের বাজেটে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের মধ্যে মশা নিধনকাজ পরিচালনার জন্য ৮৪ দশমিক ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে মশার ওষুধ কেনার পেছনেই ব্যয় হবে ৪৫ কোটি টাকা। আর ৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বেসরকারি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়োজিত কর্মীদের দিয়ে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনায়।

এছাড়া মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ৭ দশমিক ৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে ডেঙ্গু মোকাবিলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচারণায়। সব মিলিয়ে যা ১২১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডিএনসিসি নতুন অর্থবছরের মশা নিয়ন্ত্রণে যে বরাদ্দ রেখেছে, তা মোট বাজেটের প্রায় ২ দশমিক ৩২ শতাংশ। সংস্থার নতুন অর্থবছরের মোট বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ২৬৮ দশমিক ৪৫ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত অর্থবছরের (২০২২-২৩) সংশোধিত বাজেট ছিল ২ হাজার ৯৫০ দশমিক ৯৮ কোটি টাকা।

বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি এবং মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির ব্যর্থতা কোথায়, সাংবাদিকরা তা জানতে চাইলে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এত কিছু করছি, এরপরও মশা কেন নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না এই প্রশ্নের উত্তর আমরাও জানি না। আমরাও এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি, আসলে সমস্যাটা কোথায়?’

তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মশার প্রজাতি, ব্যবহৃত ওষুধ- এসব নিয়ে গবেষণার জন্য সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আশা করছি গবেষণার মাধ্যমে আমরা আরও ভালো কিছু পাব।’

আপর দেশ/এমএমজেড

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়