২০২৩ সালের পদার্থ নোবেল বিজয়ী তিন বিজ্ঞানী
এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন পিয়েরে অ্যাগোস্টিনি, ফেরেঙ্ক ক্রাউস এবং অ্যান ল'হুইলিয়ার। পদার্থের ইলেক্ট্রন গতিবিদ্যায় বিশেষ অবদানের জন্য তাদের এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টায় স্টকহোমে পদার্থবিদ্যায় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস। এনিয়ে টানা তিন বছর পদার্থে তিনজন করে বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার ভাগ করে নিলেন।
এর আগে, গত বছরও পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন- ফ্রান্সের অ্যালেইন অ্যাস্পেক্ট, যুক্তরাষ্ট্রের জন এফ. ক্লজার এবং অস্ট্রিয়ার অ্যান্টন জেলিঙ্গার। ‘বিজড়িত ফোটন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বেল অসমতার লঙ্ঘন প্রতিষ্ঠা এবং কোয়ান্টাম তথ্য বিজ্ঞানে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য’ এই পুরস্কার পান তারা।
২০২১ সালেও পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন জাপানি আবহাওয়াবিদ স্যুকুরো মানাবে, জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ক্লাউস হাসেলমান এবং ইতালিয়ান পদার্থবিদ জর্জিও পারিসি। বৈশ্বিক উষ্ণতার পূর্বাভাস প্রদান এবং কমপ্লেক্স ফিজিক্যাল সিস্টেম সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়ার বিষয়ে যুগান্তকারী অবদানের জন্য তারা বিশ্বের সর্বোচ্চ পুরস্কারে ভূষিত হন।
আজ (৩ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে নোবেল কর্তৃপক্ষ বলেছে, অ্যাগোস্টিনি, ক্রাউস এবং ল'হুইলিয়ার আলোর অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত স্পন্দন তৈরির একটি উপায় আবিষ্কার করেছেন, ইলেকট্রনগুলোর চলাচল বা শক্তি পরিবর্তনের প্রক্রিয়াগুরো দ্রুত পরিমাপ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তিন বিজ্ঞানীর এই আবিষ্কার অনু-পরমাণুর ভেতরে ইলেকট্রনের জগৎ অন্বেষণের জন্য মানুষের হাতে নতুন সরঞ্জাম তুলে দিয়েছে।
এ বছর ২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ধাপে ধাপে ঘোষণা করা হচ্ছে নোবেল বিজয়ীদের নাম। প্রথম দিন সোমবার (২ অক্টোবর) ঘোষণা করা হয় চিকিৎসাবিজ্ঞানে, আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ঘোষণা করা হলো পদার্থে। এরপর বুধবার (৪ অক্টোবর) রসায়নে, বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সাহিত্যে এবং শুক্রবার (৬ অক্টোবর) শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম জানা যাবে। এরপর দুদিন বিরতি দিয়ে ৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম।
এ বছর চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন হাঙ্গেরিয়ান-আমেরিকান বিজ্ঞানী ক্যাটালিন কারিকো এবং আমেরিকান বিজ্ঞানী ড্রিউ উইসম্যানকে। কোভিড-১৯’র বিরুদ্ধে কার্যকর এমআরএনএ টিকার বিকাশে সহায়ক নিউক্লিওসাইড বেস পরিবর্তনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন তারা।
ডিনামাইট আবিষ্কারক সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। প্রথম পুরস্কার দেয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে। সেময় সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সফল, অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কার দেয়া হয়। বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি। আর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে।
এ বছর নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বেড়েছে। গতবারের চেয়ে এ বছরের বিজয়ীরা ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা বেশি পাবেন। নোবেল ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ২০২৩ সালে পুরস্কারের অর্থমূল্য বাড়িয়ে ১ কোটি ১০ লাখ ক্রোনা করা হচ্ছে। যা বাংলাদেশি প্রায় ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকার সমান।
আপন দেশ/এমএমজেড
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
