নরওয়ের লেখক ইয়োন ফসে
এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন নরওয়ের লেখক ইয়োন ফসে। রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় সম্মানজনক এ পুরস্কারের জন্য তার নাম ঘোষণা করেছে। ১৯০১ সাল থেকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। চলতি বছর এ শাখার ১১৪তম পুরস্কার জয় করলেন জন ফসে।
তার লেখা নাটক ও গদ্যের প্রশংসা করে সুইডিশ অ্যাকাডেমি বলেছে, যেসব কথা অনুচ্চারিত থেকে যায় সেগুলো লেখনিতে তুলে এনেছেন তিনি। তার লেখা বিশ্বজুড়ে নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
নরওয়েজীয় ভাষার লিখিত রূপের দুটি স্ট্যান্ডার্ড বা মানদণ্ড প্রচলিত আছে- নাইনর্স্ক এবং বোকমাল। জন ফসে তার সাহিত্য চর্চার জন্য বেছে নিয়েছেন নাইনর্স্ককে।
পুরস্কারের ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (১০ লাখ ডলার) পাবেন নরওয়েজিয়ান এই লেখক। গত বছর ফরাসি লেখক আনি এরনো এই পুরস্কার পেয়েছিলেন।
ইয়োন ফসের জন্ম ১৯৫৯ সালে। ৪০টির মতো নাটক লিখেছেন তিনি। এর বাইরে অনেকগুলো উপন্যাস ছাড়াও প্রবন্ধ, শিশুতোষ বই ও অনুবাদের বই রয়েছে তার। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতিমান নাট্যকারদের একজন তিনি।
সুইডিশ অ্যাকাডেমির বর্ণনায়, বর্তমানে বিশ্বে যাদের নাটক সবচেয়ে বেশি মঞ্চস্থ হয়, তাদের মধ্যে একজন ইয়োন ফসে। গদ্যের জন্যও তার খ্যাতি ক্রমশ বাড়ছে।
নরওয়েতে বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতাকে শৈল্পিক সুষমায় লেখনিতে তুলে ধরেছেন ইয়োন ফসে। সাহিত্যকর্মে মানুষের উদ্বেগ ও দোদুল্যমানতার বিষয়গুলোকে তুলে ধরতে পারার জন্য তিনি প্রশংসিত হয়ে থাকেন।
এর আগে বুধবার (৪অক্টোবর) ন্যানোপ্রযুক্তির অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখার জন্য চলতি বছরে রসায়নে নোবেল পুরস্কারের জন্য তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন- আলেক্সি ইয়াকিমভ, মুঙ্গি বাওয়েন্ডি ও লুই ব্রুস।
তার আগের দিন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান পিয়ের আগোস্তিনি, ফেরেন্স ক্রাউজ ও অ্যান লিয়ের। এই বিজ্ঞানীরা অতিক্ষুদ্র সময়ে অ্যাটোসেকেন্ডে আলোক তরঙ্গের স্পন্দন তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। তাদের এই গবেষণা আরও দ্রুত গতির ইলেকট্রনিকস ও রোগ নির্ণয় পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আর করোনার এমআরএনএ টিকা তৈরিতে ভূমিকার জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন দুই গবেষক ক্যাটালিন ক্যারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান।
নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল। তার ইচ্ছা অনুসারে প্রতিবছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবতার কল্যাণে যাঁরা অবদান রাখেন, তাঁরা পান বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার।
আপন দেশ/এমএমজেড
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।