ক্লডিয়া গোল্ডিন
এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন অধ্যাপক ক্লডিয়া গোল্ডিন এক নারী। স্টকহোমে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণার অনুষ্ঠানে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সের জুরিরা বলেন, নারী শ্রমিকদের বাজার সম্পর্কে সাধারণ লোকজনের জানাশোনা ও বোঝাপড়ার উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক ও গবেষককে চলতি বছর নোবেলের জন্য যোগ্য ব্যক্তি বলে মনে করেছেন তারা।
সোমবার (৯অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ২০২৩ সালের জন্য অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী হিসেবে এই মার্কিন অর্থনীতিবিদের নাম ঘোষণা করেছে সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স।
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানব সভ্যতায় নারীর অর্থনৈতিক অবদান, উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাকর্ম রয়েছে অধ্যাপক ক্লডিয়া গোল্ডিনের। বিভিন্ন রেকর্ড ও আর্কাইভ ঘেঁটে অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে যেসব তথ্য হাজির করেছেন এই অধ্যাপক, তা রীতিমতো বিস্ময় জাগানিয়া।
সমাজে নারীর অর্থনৈতিক অবদান বিচার বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নারীর বিবাহ ও সন্তানধারণ। মূলত এ দুই কারণে অর্থনীতিতে নারীর ভূমিকা পুরুষের চেয়ে কম বলে বিবেচনা করেন অনেকেই।
কিন্তু বিবাহ ও সন্তানধারণের মাধ্যমেও নারীরা কীভাবে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখছেন হাজার হাজার বছর ধরে তা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছেন ক্লডিয়া গোল্ডিন। মূলত এ কারণেই তাকে নোবেলের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয়েছে ১৯৬৯ সাল থেকে। ২০২২ সাল পর্যন্ত এই শাখায় নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে মোট ৫৪টি। চলতি বছরের ৫৫তম পুরস্কারটি অর্জন করলেন ক্লডিয়া গোল্ডিন।
গত ৫৪ বছরের ইতিহাসে চতুর্থ নারী হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেলজয় করলেন ক্লডিয়া গোল্ডিন। তার আগে এই শাখায় নোবেল পেয়েছিলেন মাত্র ৩ জন নারী।
সবচেয়ে কম বয়সে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী এস্থার দুফলো। ৪৬ বছর বয়সে তিনি অর্থনীতিতে নোবেল পান। আর সবচেয়ে বেশি বছর বয়সে এই ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান লিওনিড হারউইচ। পুরস্কার পাওয়ার সময় তার বয়স ছিল ৯০ বছর।
আপন দেশ/এমএমজেড
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।