ছবি: সংগৃহীত
শক্তিশালী ভূমিকম্পে আবারো কাঁপল আফগানিস্তান। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ছয় দশমিক তিন। গত শনিবার ভূমিকম্পে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
সর্বশেষ কম্পনে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। তবে এই অঞ্চলের সবকিছু ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। গ্রামগুলোর সামান্যই অবশিষ্ট আছে। ছয় দশমিক তিন মাত্রার ভূমিকম্পটি হেরাত প্রদেশের রাজধানীর বাইরে প্রায় ২৮ কিলোমিটার (১৭ মাইল) এবং ১০ কিলোমিটার (ছয় মাইল) গভীরে ছিল।
এর আগে শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে প্রথমে ছয় দশমিক তিন তীব্রতার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আফগানিস্তানে আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের পর দেশটিতে পাঁচ দশমিক পাঁচ, চার দশমিক সাত, ছয় দশমিক তিন ও পাঁচ দশমিক নয় মাত্রার চারটি শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়।
আরও পড়ুন <> ত্রিশালে বাসচাপায় ৪ গার্মেন্টসকর্মী নিহত
নায়েব রাফিতে একটি গ্রামে আগে প্রায় দুই হাজার ৫০০ জন বাসিন্দা ছিল। তবে এখন মানুষ বলছে, ভূমিকম্পের সময় বাইরে কাজ করা পুরুষ বাদে আর প্রায় কেউই এখন জীবিত নেই।
জীবিতরা সারাদিন গণকবরের জন্য কবর খনন করছে। জিন্দা জান জেলার একটি মাঠে বুলডোজারের সাহায্যে সারি সারি কবর খনন করা হচ্ছে।
হেরাত শহরের মীর আগা বলেন, ‘বিধ্বস্ত বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করা এবং এর কয়েক মিনিট পরে তাকে আবার মাটির নিচে রেখে আসা খুবই কঠিন।’ স্থানীয়দের সাহায্য করছে স্বেচ্ছাসেবকরা। গত শনিবারের ভূমিকম্পে ২০টি গ্রামের প্রায় দুই হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে দেশটির তালেবান সরকার জানিয়েছে।
তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ভূমিকম্পের পর হেরাত জুড়ে দুই হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে। তারা পরবর্তীতে আবার বলেছেন, ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে কিন্তু হতাহতের সঠিক সংখ্যা উল্লেখ করেনি।
আপন দেশ/আরএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।