শক্তিশালী ভূমিকম্প হেরাত প্রদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রোববার (১৫ অক্টোবর) হেরাত শহরের কাছে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৬০.৩ কিমি (চার মাইল) গভীরে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহের মধ্যে তিনবার দেশটিতে ভূমিকম্পে আঘাত হানল। খবর বিবিসি
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পে আহত শতাধিক মানুষকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ইউএসজিএস তার প্রতিবেদনে বলেছে যে সর্বশেষ কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ইরান সীমান্তের কাছে আফগানিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাত থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।
গত শনিবারের (১৪ অক্টোবর) ভূমিকম্প হেরাত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে একটি গ্রামীণ জেলা জিন্দাজানে আঘাত হেনেছিল।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর প্রথমে দেশটির একই এলাকায় ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর আরও কয়েকটি শক্তিশালী পরাঘাত হয়। এ ভূমিকম্পে এক হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে, আগের ভূমিকম্পে যারা মারা গেছে তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশই নারী ও শিশু।
এরপর গত বুধবার (১১ অক্টোবর) স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ১০ মিনিটে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে আবার ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রাও ছিল ৬ দশমিক ৩। এ ঘটনায় তেমন কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পের পর দেখা গেছে ওই এলাকার বহু বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গ্রামবাসীরা বেলচা এবং খালি হাতেই নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান করছেন। বহু বাসিন্দা খোলা জায়গায় ঘুমিয়ে আছেন।
২০২১ সালে ক্ষমতা দখলকারী তালেবান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনেকেই এখন তাঁবুতে রয়েছে এবং শীত শুরু হলে তারা সম্ভবত এক মাসের বেশি সময় ধরে তাদের রক্ষা করতে সক্ষম হবে না।
আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতমালার জন্য প্রায়ই এখানে ভূমিকম্প হয়। এ পর্বতমালা ইউরেশিয়ান ও ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে অবস্থিত হওয়ায় এখানে ভূমিকম্প বেশি হয়।
আপন দেশ/এমএমজেড
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।