ছবি: সংগৃহীত
নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ছয় দশমিক চার। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১২৮ জনে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। নেপালের ন্যাশনাল ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের মতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল জাজারকোট জেলা।
শনিবার ভোররাত পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্যানুসারে, জাজারকোট এবং পশ্চিম রুকুমে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। জাজারকোট জেলার উপপুলিশ সুপার সন্তোষ রোকা বলেন, শুধু জাজারকোটেই ৪৪ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে নালগড় পৌরসভার ডেপুটি মেয়র সরিতা সিংও রয়েছেন।
জাজারকোটে ৫৫ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে সুরক্ষেতের কর্নালি প্রদেশ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে এবং বাকিরা জেলার বিভিন্ন মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পশ্চিম রুকুম জেলার উপপুলিশ সুপার নামরাজ ভট্টরাই জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্যে পশ্চিম রুকুমে মৃতের সংখ্যা ৩৬-এ পৌঁছেছে। এর মধ্যে আটবিসকোট পৌরসভায় ৩৬ জনের এবং সানিভেরি গ্রামীণ পৌরসভায় আরও পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পশ্চিম রুকুমে আহতদের সংখ্যা ৮৫ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন <> ঢাবির নতুন উপাচার্যের দায়িত্বে মাকসুদ কামাল
খবরে বলা হয়েছে, জাজারকোট জেলার ভেরি, নালগাদ, কুশে, বেরেকোট এবং চেদাগড় ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছে। প্রধান জেলা কর্মকর্তা সুরেশ সুনার জানিয়েছেন, জেলার সব নিরাপত্তা বাহিনীকে তল্লাশি ও উদ্ধারকাজে জড়ো করা হয়েছে।
এর আগে ২২ অক্টোবর ছয় দশমিক এক মাত্রার ভূমিকম্পে কাঠমান্ডু উপত্যকা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো কেঁপে ওঠে। তবে ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর ছিল না।
নেপালে ভূমিকম্প সাধারণ ঘটনা। দেশটি তিব্বতীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলোর মিলনস্থলে অবস্থিত। প্রতি শতাব্দীতে এটি অপরের দুই মিটার কাছাকাছি অবস্থান করে, যার ফলে চাপ সৃষ্টি হয় যা ভূমিকম্প হয়।
২০১৫ সালে একটি সাত দশমিক আট মাত্রার ভূমিকম্প হয়; এতে করে প্রায় নয় হাজার লোকের মৃত্যু হয় নেপালে। নেপাল বিশ্বের ১১তম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ।
আপন দেশ/আরএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।