Apan Desh | আপন দেশ

বাংলাদেশিদের ভবিষ্যৎ হুমকিতে: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ৮ জানুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ২৩:৪৯, ৮ জানুয়ারি ২০২৪

বাংলাদেশিদের ভবিষ্যৎ হুমকিতে: জাতিসংঘ

ফাইল ছবি: ভলকার তুর্ক

বাংলাদেশিদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে। তাই বাংলাদেশের বর্তমান গতিপথ পরিবর্তন করে একটি সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাতে জেনেভায় জাতিসংঘ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্নবীকরণের বাংলাদেশের নবনির্বাচিত সরকারেক আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার। তিনি ভোটের পরিবেশ নিয়েও সমালোচনা করেছেন। সেই সঙ্গে রোববার ভোটের দিন বিরোধী প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রতি সহিংসতা ও দমন–পীড়নের বিষয়টিও তুলে ধরেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, ভোটের আগের মাসগুলোতে হাজার হাজার বিরোধী সমর্থককে নির্বিচারে আটক করা হয়েছে বা ভয় দেখানো হয়েছে। এই ধরনের কৌশল সত্যিকারের প্রকৃত প্রক্রিয়ার জন্য সহায়ক নয়। আমি সরকারকে অনুরোধ করছি যেন সব বাংলাদেশির মানবাধিকারের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে আমলে নেয়া হয়। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে যেন সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের ভিত্তিকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়।

আরও পড়ুন<<>> নির্বাচনে ‘ভুয়া পর্যবেক্ষক’!

প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছিল। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভোটের আগে গণগ্রেফতার, হুমকি, জোরপূর্বক গুম, ব্ল্যাকমেইলিং এবং নজরদারির মতো পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করেছে। রাজনৈতিক সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাগুলো বিরোধী দলগুলো করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২৮ অক্টোবর থেকে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ প্রায় ২৫ হাজার বিরোধী সমর্থকরা গ্রেফতার হয়েছেন। গত দুই মাসে কমপক্ষে ১০ জন বিরোধী সমর্থক নিহত অথবা হেফাজতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আটক অবস্থায় সম্ভাব্য নির্যাতন বা কঠোর পরিবেশ নিয়ে গুরুত্ব উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার।

তিনি বলেন, প্রচুর মানবাধিকার কর্মী আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। আর কিছু পালিয় গিয়েছেন ও ডজনখানেক গুম হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে নভেম্বর মাসে।

ভলকার তুর্ক বলেন, এই ঘটনাগুলো অবশ্যই স্বাধীনভাবে তদন্ত করা উচিত। দায়ীদের অবশ্যই ন্যায্য ও স্বচ্ছ বিচারে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে প্রচারণা চালানোর  সময় এবং নির্বাচনের দিনেও আইনের লঙ্ঘন ও অনিয়ম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং কার্যকরভাবে তদন্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র কঠিনভাবে এসেছিল, এটি নষ্ট হওয়া উচিত নয়। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল এবং আমি আন্তরিকভাবে আশা করি- এটি রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রেও বিস্তার করবে। সব বাংলাদেশিদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়