Apan Desh | আপন দেশ

পাকিস্তানে নাটকীয়তার নির্বাচন কাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০৭, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

পাকিস্তানে নাটকীয়তার নির্বাচন কাল

ছবি: সংগৃহীত

রেকর্ড মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব আর নিরাপত্তাসহ নানামুখী সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান। বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল দেশটির জাতীয় নির্বাচন আগামীকাল (৮ ফেব্রুয়ারি)। আগামী পাঁচ বছরের জন্য নতুন সরকার গঠন করবে প্রায় ১৩ কোটি ভোটার। একই সঙ্গে চারটি প্রাদেশিক সরকারের নতুন সরকার আসছে। তবে নির্বাচন নিয়ে অনেকটাই অস্বস্তিতে আছেন সেখানকার ভোটাররা।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডন নিউজ এ তথ্য জানায়।

এর আগে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে দেশটিতে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে দেশটির কয়েকটি অঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে শঙ্কার মধ্যেই এই নির্বাচন হতে চলেছে। দেশটির রাজনীতি এখন এতটাই মেরুকরণ হয়ে গেছে যে, এ নিয়ে মতানৈক্যের ঘটনায় নিজের সন্তানকে পর্যন্ত হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন>> তোশাখানা মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড ইমরান-বুশরার

নিহত আতা উর রেহমানের ভাই আরিফ বলেন, ‘আমাদের পুরো পরিবারই শোকাহত। আমার ভাই কাতারে চাকরি করতেন। ছুটিতে এসে পেশোয়ারে বাবার সঙ্গে থাকছিলেন। আতা বাড়ির ছাদে পিটিআইর পতাকা টাঙাতে চাইলে দুজনের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। যদিও আমার বাবা কোনো রাজনৈতিক দল সমর্থন করেন না, তিনি এটি পছন্দও করেন না।’

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল। ২০২২ সালে বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা ভোটে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এখন তিনি দুর্নীতি ও গোপন নথি ফাঁসের অপরাধে কারাভোগ করছেন। তার নির্বাচনে অংশগ্রহণের ওপরও দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তার অনুপস্থিতিই এবারের নির্বাচন ঘিরে বড় সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

আদালতের রায়ে প্রার্থী হতে পারেননি বিপুল জনপ্রিয় এ নেতা। দলীয় প্রতীকও পায়নি পিটিআই। তবে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন দলটির অনেকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইমরানের অনুপস্থিতি পুরো নির্বাচনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

আরও পড়ুন>> ইমরান খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ সাবের শাহ বলেন, এই নির্বাচন অনেকটাই এক তরফা। ইমরান খানকে নির্বাচনে আসতে দিচ্ছে না সেনাবাহিনী। কিন্তু নিষিদ্ধ হওয়া নওয়াজ শরীফকে দেশে ফিরে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সব সুযোগই দিচ্ছে। কতটুকু সুষ্ঠু হচ্ছে ভোট তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই য়ায়। এই নাটনীয় নির্বাচন দেশকে আরও বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে।

পাকিস্তানের ১৬৭টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। তবে এবার রাজনৈতিক নানা অস্থিরতায় ভোটার সংখ্যা কম হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

নির্বাচনে ১২৮ মিলিয়ন নথিভুক্ত ভোটার রয়েছে, যারা ২৬৬ জন আইনপ্রণেতা নির্বাচন করবেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে ১৬তম সংসদ গঠন হবে। পরিসংখ্যান বলছে, পাকিস্তানে ২৪১ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বয়স ৩০-এর নিচে। কমপক্ষে ১৮ বছর পূর্ণ হলে তারা ভোটাধিকার পান।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়