ছবি: ডেইলি সাবাহ
চার মাসেরও বেশি সময় ধরে হামাস-ইসরায়েল সংঘাত চলছে। এতে গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়াল। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রাফাহ শহরে ইহুদিবাদী বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা আশঙ্কা করছে, সেখানে খুব শিগগিরই দখলদার বাহিনী স্থল অভিযান শুরু করবে। খবর রয়টার্সের।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৬৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ৬৭ হাজার ৬১১ জন।
চার মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলিরা। এ সময়ে ৭০ শতাংশেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস করেছে তারা। আর তাদের হামলার ভয়ে উপত্যকাটির ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৮৫ শতাংশ বাসিন্দাই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বর্তমানে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি সীমান্তবর্তী শহর রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু সেখানেও রেহাই নেই। গাজা ধ্বংস করার পর এখন রাফাহতেও হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। সেখানে রমজান মাস শুরুর আগে অভিযান শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
আরও পড়ুন>> পাকিস্তানে পুলিশ-পিটিআই সমর্থকদের সংঘর্ষ, নিহত ৩
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার বৈঠকে নেতানিয়াহু এমন কথা বলেন।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দফতর একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, রাফাহ থেকে সব বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে সরিয়ে নিতে সেনাবাহিনীকে পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন নেতানিয়াহু। হুমকি দিয়েছেন, রাফাহতে শিগগিরই প্রবেশ করবে সেনারা। তাদের দাবি, সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সর্বশেষ ব্যাটালিয়নটি এখন রাফাহতে অবস্থান করছে।
এদিকে বেশ কিছুদিন ধরেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী গাড়ি ঢুকতে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল। গাজার বিভিন্ন স্থানে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে উপত্যকাটির অনেক স্থানেই খাদ্যসংকট তীব্র হয়েছে।
উত্তর গাজার অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাদের শিশুরা কয়েক দিন ধরে খাবার পাচ্ছে না। জীবন বাঁচাতে অনেকে পশুপাখির খাবার (শস্যদানা) পিষে খাচ্ছেন। কিন্তু এখন এসব শস্যের মজুতও শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় পানিও পাচ্ছেন না অনেকে। একটু পানির জন্য কেউ কেউ মাটি খুঁড়ে পানি সরবরাহের নল খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
জাতিসংঘ সতর্কবার্তা জারি করে বলেছে, উত্তর গাজায় চরম অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ইতোমধ্যে সেখানে চরম অপুষ্টিতে থাকা শিশুর সংখ্যা ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) চলতি সপ্তাহে বিবিসিকে বলেছে, উত্তর গাজায় সর্বশেষ যে পাঁচটি ত্রাণবাহী গাড়িবহর প্রবেশ করতে চেয়েছিল, তার মধ্যে চারটিই থামিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।