ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ৮ ফেব্রুয়ারি। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর দুই দিন পেরিয়েছে। এক আসনে প্রার্থী নিহত হওয়ায় সেই আসনের নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। অন্য এক আসনের ফলাফল বাতিল করা হয়েছে। নানা নাটকীয়তায় অবশেষে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ফলাফল ঘোষণা শেষ হয়েছে।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, ২৬৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছে ১০১টিতে। যাদের বেশিরভাগই ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত। পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) যথাক্রমে ৭৫ ও ৫৪ আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া মুত্তাহিদা ক্বওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউম) জিতেছে ১৭ আসন।
অন্যান্য দলের মধ্যে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল) তিনটি, জামিয়াত উলামা-ই-ইসলাম পাকিস্তান (জেইউআই-পি) চারটি, ইশতেহ্কাম-ই-পাকিস্তান (আইপিপি) ও বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি) দুইটি করে, মজলিশ ওয়াহ্দাত-ই-মুসলিমীন পাকিস্তান (এমডব্লিওএমপি), পাকিস্তান মুসলিম লীগ- জিয়া (পিএমএল-জেড), পাশতুনখাওায় ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি পাকিস্তান (পিএনএপিপি), বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি), ন্যাশনাল পার্টি (এনপি) ও পাশতুনখাওয়া মিলি আওয়ামী পার্টি (পিএমএপি) একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে।
আরও পড়ুন>> মিয়ানমারে সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক
এদিকে ৯ ফেব্রুয়ারি রাতেই নওয়াজ শরিফ বলছেন, তার দলই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় দল। এই কারণে তিনি অন্যদেরও তার সঙ্গে যোগ দিয়ে সরকার গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্বাচনে পিটিআই প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছে। কারাবন্দি ইমরান খান তার ভেরিফায়েড এক্সে (সাবেক টুইটার) শনিবার রাতে এআই ব্যবহার করে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন। এতে দাবি করেন যে, তার দল পিটিআইয়ে ওপর শত দমন-পীড়ন চলা সত্ত্বেও তারা নির্বাচনে ‘নিরঙ্কুশ বিজয়’ অর্জন করেছেন।
পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদেরকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য ভোটারদের কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি সেখানে নওয়াজ শরিফকে একজন ‘দুর্বল নেতা’ হিসেবে অভিহিত করেন। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন যে, পাকিস্তানি নাগরিকরা তাকে চায় না।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।