ছবি: সংগৃহীত
২০২২ সালের তুলনায় বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক সূচকে দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। সে বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৩তম, যা বর্তমানে ৭৫তম। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট সাময়িকীর ইকোনমিক ইনটেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ), ২০২৩ সালের এ সূচক প্রকাশ করেছে।
সূচকে আগের বছরের তুলনায় বাংলাদেশের দুই ধাপ অবনতি ঘটেছে। বিশ্বের ১৬৫ দেশ ও দুটি অঞ্চলের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার এটি প্রকাশ হয়।
ইআইইউ’র এ সূচক পাঁচটি মানদণ্ড— নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও বহুদলীয় ব্যবস্থা, সরকারের কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক সংস্কৃতি, নাগরিক অধিকারের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বের ১৬৫ দেশ ও দুটি অঞ্চলের গণতন্ত্র পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে, ১০ স্কোরের ভিত্তিতে এ সূচক তৈরি করা হয়।
এসব মানদণ্ড বিবেচনা করে পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, মিশ্র গণতন্ত্র এবং স্বৈরশাসন— এই চার শ্রেণিতে সূচক তৈরি করা হয়েছে।
ইকোনমিস্টের মতে, কোনও দেশের গড় স্কোর ৮ এর বেশি হলে পূর্ণ গণতন্ত্র, ৬ থেকে ৮ হলে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, ৪ থেকে ৬ হলে মিশ্র গণতন্ত্র এবং ৪ এর নিচে হলে সেই দেশে স্বৈরশাসন জারি রয়েছে।
ইআইইউ বলছে, ২০২৩ সালের সূচকে ৫ দশমিক ৮৭ স্কোর নিয়ে ৭৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ।
২০২২, ২০২১ ও ২০২০ সালে এই সূচকে ৫ দশমিক ৯৯ স্কোর নিয়ে মিশ্র গণতন্ত্রের দেশের তালিকায় ছিল বাংলাদেশ। একই সূচকে ২০১৯ সালে ৮৮তম স্থানে বাংলাদেশর স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৫৭।
ব্রিটিশ এই সাময়িকী ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক সূচক প্রকাশ করে। ওই বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৬ দশমিক ১১।
২০০৭ সালে ৫ দশমিক ৫২, ২০০৮ সালে ৫ দশমিক ৮৭, তারপরের তিন বছর বাংলাদেশের স্কোর একই ছিল; ৫ দশমিক ৮৬।
এবারের এই সূচকে ৯ দশমিক ৮১ স্কোর নিয়ে গত বারের মতো সবার ওপরে আছে নরওয়ে। নিউজিল্যান্ড ২০২২ সালের মতো এবারের সূচকে দ্বিতীয় স্থানে আছে। দেশটির স্কোর ৯ দশমিক ৬১। ৯ দশমিক ৪৫ স্কোর নিয়ে ফিনল্যান্ড আছে তৃতীয় স্থানে।
এরপরই আছে ৯ দশমিক ৩৯ স্কোর নিয়ে সুইডেন (চতুর্থ), পঞ্চম স্থানে ফিনল্যান্ড (স্কোর ৯.৩০), ৬ষ্ঠ স্থানে ডেনমার্ক (স্কোর ৯.২৮), ৭ম স্থানে আয়ারল্যান্ড (স্কোর ৯.১৯), ৮ম সুইজারল্যান্ডস (স্কোর ৮.৯৯), নেদারল্যান্ডস নবম (স্কোর ৯.০০) এবং তাইওয়ান ৮.৯২ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে আছে।
২০০৬ সালে প্রকাশিত প্রথম গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশের তালিকায়। ওই বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৬ দশমিক ১১। এর পরের বছর গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে বাংলাদেশ মিশ্র গণতন্ত্রের দেশের তালিকায় ঢুকে যায়। তখন থেকেই ইকোনমিক ইনটেলিজেন্স ইউনিউটের বিচারে মিশ্র গণতন্ত্রের দেশ রয়েছে বাংলাদেশ।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।