ছবি: সংগৃহীত
নানা নাটকীয়তা শেষে হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন। তবে প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে সুরাহা হয়নি এখনও। দলীয় প্রতীক হারানো পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন পায়নি। এদিকে নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টো জোট করে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তাতেও বাধ সাধে প্রধানমন্ত্রিত্ব। কে বসবেন পাক মসনদে। এ নিয়ে চলে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌচ্ছাতে পারেনি কেউ-ই।
নির্বাচন নিয়ে বির্তক ছিল শুরু থেকেই। ভোট জালিয়াতির খবরও এসেছে গণমাধ্যমে। ভোটকেন্দ্রে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। সরকার গঠন নিয়ে টালবাহান চলমান। সবমিলিয়ে পাকিস্তানের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৩০ দিনের মধ্যে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন>> ইমরানের স্ত্রীকে অ্যাসিড খাওয়ানোর অভিযোগ
আগামী সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের নির্বাচন বাতিল আবেদনের ওপর শুনানি হবে। শুনানিতে তিন সদস্যের একটি বেঞ্চের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির প্রধান বিচারপতি কাজী ফায়েজ ইশা। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মুহাম্মাদ আলী মাজহার এবং বিচারপতি মুশারাত হিলালি।
আলী খান নামে এক নাগরিক আবেদনে ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে, বিচার বিভাগের তত্ত্বাবধানে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেন। এতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ও ফেডারেল সরকারকে বিবাদী করা হয়েছে। পাশাপাশি আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন সরকার গঠনে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়।
এর আগে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা ৯২ আসনে জয় পায়। এছাড়া নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন ৭৫, বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি ৫৪ আসনে জয় পায়।
নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই এই মুহূর্তে জোট সরকার গঠন নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। অন্যদিকে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে নানান কর্মসূচি পালন করছে ইমরান খানের পিটিআই।
সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।