ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে দুই বছর। মস্কোর মোকাবেলায় কিয়েভকে সহায়তা দিচ্ছে পশ্চিমারা। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সহায়তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিশেষ করে মার্কিন রাজনৈতিক জটিলতায় বিশাল সামরিক সহায়তা আপাতত থমকে আছে। এমতাবস্থায় ইউক্রেন বিকল্প সহায়তা খোঁজ করছে। তবে হামলার শাস্তি হিসেবে পশ্চিমারা মস্কোর বাইরে রাশিয়ার রাখা সম্পদ ইউক্রেনের জন্য কাজে লাগাচ্ছে চাচ্ছে। এ দাবি আরও জোরালো হয়ে উঠছে।
ব্রাজিলের সাঁও পাউলো শহরে জি-২০ গোষ্ঠীর অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ বিশেষ করে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জি-৭ গোষ্ঠী মূল সম্মেলনের আগে সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখেছে৷ মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট অ্যালেন বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় রাশিয়ার সম্পদ কাজে লাগানো বা বাজেয়াপ্ত করার বিধান আছে৷
কিন্তু ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো ল্য মেয়ার মনে করেন, আন্তর্জাতিক আইনে এমন পদক্ষেপের যথেষ্ট ভিত্তি না নেই। বিধায় জি-২০সহ অন্যান্য দেশের অনুমোদনের প্রয়োজন৷ ইউক্রেনের প্রতি ঐক্যবদ্ধ সমর্থনের প্রয়োজনীয়তার সময়ে তিনি জি-২০ গোষ্ঠীতে আরও বিভাজন সম্পর্কে সতর্ক করেন৷
আরও পড়ুন>> গাজায় নিহত ৩০ হাজার ছুঁই ছুঁই
জার্মানির অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে ইউক্রেনের বিষয় উল্লেখ করার জন্য চাপ দিচ্ছেন৷ তা না হলে জার্মানি সেই বিবৃতিতে সায় দেবে না৷ রাশিয়া, ব্রাজিল, ভারতের মতো জি-২০ সদস্য দেশ মস্কোর বিরুদ্ধে এমন শাস্তিমূলক পদক্ষেপের পথে বাধা সৃষ্টি করবে। এমন অনুমান করা হচ্ছে৷ মার্কিন প্রশাসন অবশ্য সেই লক্ষ্যে চাপ দিচ্ছে৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নেও বিষয়টি বিবেচনার জন্য চাপ বাড়ছে৷ ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন গত বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের সামনে ইউক্রেনের জন্য যৌথভাবে গোলাবারুদ কেনার প্রেক্ষাপটে বিষয়টি উল্লেখ করেন৷ রাশিয়ার সম্পদ কাজে লাগিয়ে সেই অস্ত্রের জন্য অর্থ সংগ্রহের প্রস্তাব নিয়ে সংলাপ শুরু করার আহ্বান জানান তিনি৷ সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, ডিপিএ
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।