ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনে দীর্ঘদিন ধরে দখলদার ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে। বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো। অর্থনীতি অত্যন্ত সঙ্কটাপন্ন। ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। তীব্র আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে নতুন সরকার শপথ গ্রহণ করেছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোস্তফার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছে।
রোববার (৩১ মার্চ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের উপস্থিতিতে শপথ নেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা এ তথ্য জানিয়েছে।
গত মার্চের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহেরের স্থলাভিষিক্ত করা হয় মোস্তফাকে। শাতায়েহের ফেব্রুয়ারিতে তার সরকারের সঙ্গে পদত্যাগ করেছিলেন।
আরও পড়ুন>> ইসরায়েল বিক্ষোভে উত্তাল, নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি
শপথের পর আব্বাস নতুন সরকারের একটি সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে আরব ও আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে কাজ চলছে। আমাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য স্বাধীনতা ও দখলদারিত্ব থেকে মুক্তি অর্জন করা, আমরা জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে সংশ্লিষ্ট আরব ও আন্তর্জাতিক দলগুলোর সঙ্গে কাজ করছি।’
আব্বাস ফিলিস্তিনি জনগণকে উন্নত পরিষেবা প্রদানের জন্য সুদূরপ্রসারী প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, নতুন সরকারকে গাজায় মানবিক ত্রাণ প্রচেষ্টা ও ফিলিস্তিনি অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ পশ্চিম তীরে তার শাসন ব্যবস্থার সংস্কার ও উন্নতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র চাপের মুখে রয়েছে। কর্তৃপক্ষকে দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন রাজনীতিবিদ ও ফিলিস্তিনিরা দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে দেখে আসছে।
২০০৭ সাল পর্যন্ত গাজার ওপর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ছিল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের। গাজায় ২০০৬ সালের আইনসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে হামাস। তারপর থেকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে হটিয়ে গাজা শাসন করছে হামাস। আর ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশ শাসন করে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।