ছবি: আল-জাজিরা
ক্ষুধায় নাজেহাল গাজাবাসী এবার ঈদের দিনেও থাকবেন বুলেট-বোমার আতঙ্কে। সঙ্গে থাকবে সব হারানোর বেদনা। এর মধ্যও পুরনো কাপড় সেলাই করছেন অনেকে। মিষ্টির বিকল্প হিসেবে তৈরি করছেন আটার বিস্কুট। যা খাবে শিশুরা।
ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মমতায় পুরো গাজাই যেন ধ্বংসস্তুপ। ৬ মাসে ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। যারা এখনও বেঁচে আছেন, রোজায় সেহেরি আর ইফতারে খাওয়ার মতো ভালো কিছুই পাননি। এমন বাস্তবতার মাঝেই এসেছে ঈদ।
হামলা বন্ধ বা যুদ্ধবিরতির লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। ইসরায়েলি সেনাদের অত্যাচারে আতঙ্কে ঈদের দিন কাটবে গাজাবাসীর। গাজার এক বাসিন্দা বলেন, ‘ঈদ নেই এখানে। কেনার মতো কিছুই নেই। আর কিছু পেলেও সামর্থ্য নেই। ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনের আগে, আমরা ঈদের জন্য মিষ্টি, জামাকাপড় কিনতাম। সব ধরনের প্রস্তুতি নিতাম। এখন তাঁবুতে থাকি, নিজের বাড়িঘর নেই। খুব খারাপ অবস্থায় আছি।’
আরও পড়ুন>> রাশিয়ার কাছে পরাজয়ের আশঙ্কা জেলেনস্কির
ঈদের জন্য হাতেই বিস্কুট বানাচ্ছেন দেইল আল বালা শহরের বাস্তুচ্যুত নারীরা। ছিঁড়ে যাওয়া পুরোনো কাপড় সেলাই করে নিচ্ছেন অনেকে। কারও তাও করার সামর্থ্য নেই।
গাজার এক ফিলিস্তিনি নারী বলেন, ‘বাচ্চাদের জন্য মিষ্টান্ন হিসেবে বিস্কুট বানিয়েছি। কিন্তু ঈদের জন্য জামা-কাপড় নেই। আমার মেয়ে বড় হয়েছে, তার জন্যও কোনো কাপড় নেই। সব ছিঁড়ে গেছে।’
জামা-জুতা কিংবা ভালো খাবার নয়, যুদ্ধ বন্ধের মধ্যেই ঈদের আনন্দ খুঁজছেন গাজাবাসী। এক বাসিন্দা বলেন, ‘ঈদ... যুদ্ধে আবার কেমন ঈদ। এখানে কোনো ঈদুল ফিতর নেই, নেই ঈদুল আজহা। আমাদের জন্য ঈদ মানে যুদ্ধ ও আগ্রাসনের সমাপ্তি।’
এখনও যুদ্ধবিরতির অপেক্ষায় আছেন গাজার মানুষ। আশা, শিগগির শেষ হবে ইসরায়েলের আগ্রাসন।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।