ছবি: সংগৃহীত
প্রত্যেক মানুষই চান তাদের সন্তান মানুষের মতো মানুষ হোক। বিশেষ প্রতিভার অধিকারী হোক। কিন্ত তাই বলে সন্তানকে অতিমানবীয় করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে রেখে দেবে। এরকম অমানবিক উদাহরণের দেখা পেয়েছেন কখনও? রোদে বড়দেরই বেশিক্ষণ থাকলে মৃত্যু হতে পারে। সেখানে তো মাত্র ১ মাসের দুধের শিশু? ব্যাপারটা কি?
সম্প্রতি আদালতে ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন রাশিয়ান ইনফ্লুয়েন্সার। ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। চলুন ঘটনাটি খোলাসা করা যাক! অভিযুক্ত ম্যাক্সিম লিউতি। তার ১ মাসের সন্তানকে অতিমানবীয় অর্থাৎ ঈশ্বরের মতো ক্ষমতাবান বানাতে সূর্যের আলোতে দীর্ঘক্ষণ রেখে দিয়েছিলেন।
তিনি ছেলেকে অতিমানবীয় বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, শিশুটি অপুষ্টি এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়েই মারা যায়। বিষয়টি অভিযুক্ত নিজেই স্বীকার করেছেন। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ছেলে কসমসকে বাড়িতেই জন্ম দিয়েছিল তার স্ত্রী ওকসানা। পরবর্তীতে নিজের আধ্যাত্মিক শক্তি বাড়াতে লিউতিই কঠোর ডায়েট শুরু করেন। এজন্য স্ত্রীকেও জোর করতেন যেন তার বাচ্চা না খায়। সূর্যের আলো খাইয়ে তাকে বড় করতে চেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
কিন্তু ওকসানা তার কথা শুনতেন না। গোপনে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতেন। এরপর ম্যাক্সিম লিউতি তার শিশুর উপর দৈবিক শক্তি পরীক্ষা করার জন্যে সূর্যের আলোতে রাখতে শুরু করে। ছেলেকে অতি শক্তিশালী বানাতে অধিক ঠান্ডা পানিতে গোসল করাতেন। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছিল লিউতির পরিবারের লোকজনও। কিন্তু তার দাপটে কেউই কিছু করতে পারতেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছেলেকে বাঁচাতে পারলেন না লিউতি ওসকানা।
সূর্যের প্রখর রোদে তপ্ত হয়ে মারা যায় তার ছেলে। দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে কসমস অপুষ্টিতে ভুগছিল। গত বছরের ৮ মার্চ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই সে মারা যায়। চিকিত্সকরা ৩.৫ পাউন্ডের শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরেই লিউতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করার পর তাকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। একইসঙ্গে ৯০০ পাউন্ড জরিমানাও করা হয়।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।